নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস দেশের সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে বিএনপি-জামাত অপশক্তির তথাকথিত আন্দোলন হরতাল-অবরোধের নামে আগুন-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য-নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার তথাকথিত অবরোধের নামে বিএনপি-জামাত অপশক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন তিনি। এর আগে মুন্সীগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন মীরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুস সালাম, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহাসীনা হক কল্পনা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল-মাহমুদ বাবু, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রিপন, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন, মীরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান শরীফ, জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আবুল কাশেম, যুবলীগ নেতা জাহিদ হাসান প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বিএনপি-জামাত দেশবিরোধী অপশক্তি তথাকথিত সমাবেশ, হরতাল, অবরোধ ও আন্দোলনের নামে হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। জনগণের সাড়া না পেয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হাসপাতাল ও এ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়ার মতো মানবতাবিরোধী ও বর্বরোচিত সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে বিএনপি। বিএনপির ক্যাডার বাহিনী হানাদারের মতো সন্ত্রাসী কায়দায় নৃশংসভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে; ঘুমন্ত অবস্থায় একজন বাসের হেলপারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ও নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর তথাকথিত আন্দোলন এবং অবরোধের নামে ধারাবাহিক অগ্নিসন্ত্রাসে ৫ শতাধিক মানুষকে হত্যাকান্ডের শিকার করেছিল। ৩ হাজার ৮০০ যানবাহন, ৫ শতাধিক স্কুল, ভূমি অফিস, মানুষের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের সেই পুরনো চেহারা আবারও উন্মোচিত হয়েছে। লন্ডনে বসে একুশে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির ধারক, পলাতক তারেক রহমান নির্দেশ দিচ্ছে আর বিএনপির ক্যাডার বাহিনী তার নির্দেশে দেশের মানুষের উপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পলাতক আসামী তারেক রহমান বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত করছে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামাত অপশক্তি ও তাদের বিদেশি প্রভুরা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চালাচ্ছে। এই অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের গতিপথ যাতে রুদ্ধ না হয় সেজন্য সকলকে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। আসুন, সকল দেশপ্রেমিক নাগরিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে তথাকথিত আন্দোলন, হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি-জামাত অপশক্তির আগুন-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য-নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।