নিজস্ব প্রতিবেদক
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়ন। বালুরচর ইউনিয়নের আকবরনগর গ্রামে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ২ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে গত ১ মাসে ৫ বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল এবং দুইজন টেঁটাবিদ্ধসহ ১ মাসে ৯ জন টেঁটাবিদ্ধ এবং ২৫টি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে সামেদ আলী ও হাসান আলী গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে চলে এ সংঘর্ষ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ফের সকালে বালুচর ইউনিয়নের সামেদ আলী ও হাসান আলী গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে ২ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছে। টেঁটাবিদ্ধ আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে এবং বাকী আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) রাশেদুল ইসলাম জানান, ২ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে। তবে ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এবং সিরাজদিখান সীমানা ঘেঁষা এলাকায়। আহত টেঁটাবিদ্ধ দুজনই ফতুল্লা এলাকার। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। প্রসঙ্গত, উপজেলার বালুচরে টেঁটাযুদ্ধের ইতিহাস ৫০ বছরের বেশি সময়ের। আদিম যুগের কায়দায় একদা সেখানে চর দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ হতো। তেমনি বর্তমান সময়ে এসেও রাজধানী ঢাকার সীমানা ঘেঁষা বালুচর জমি দখল, মাটি ভরাট এবং আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সেই আদিম যুগীয় কায়দায় যুদ্ধ। স্বাধীনতার পর ৫০ বছরে বালুচর কতবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে তা সঠিক করে কেউ বলতে পারবে না। তবে স্বাধীনতার পরে টেঁটাযুদ্ধের ঘটনায় মারা গেছেন প্রায় ১০ জনেরও বেশি মানুষ। বাড়িঘর ভাঙচুর, দখল ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে অসংখ্য। গত পাঁচ বছরে টেঁটাযুদ্ধে মারা গেছেন তিনজন, টেঁটা উদ্ধার হয়েছে নয় হাজারেরও বেশি এবং মামলা হয়েছে ৬০টি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বালুরচরে টেঁটাযুদ্ধ
আগের পোস্ট