নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। এই পৌরসভার আওতাধীন উত্তর ইসলামপুরের প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়ে উঠছিলো। এক পশলা বৃষ্টি হলে পানি জমে যেতো। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ঐ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খরা মৌসুমে চলাচল করতে পারলেও বৃষ্টির সময়ে ভোগান্তি চরমে দাঁড়ায়। উত্তর ইসলামপুর সড়কে জলাবদ্ধতা নিরসনে দাবি ছিলো স্থানীয়দের। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র ফয়সাল বিপ্লব দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ^াস দিয়ে তৎক্ষণাৎ জনবল পাঠান জলাবদ্ধতা নিরসনে। ড্রেনেজ ব্যবস্থারও কাজ শুরু করে দেন এবং স্বল্পসময়ে কাজটি শেষ করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ভেতরে উত্তর ইসলামপুরের শেষ অংশের সড়কে বৃষ্টি হলেও পানি জমে থাকতো। পথচারী ও যানবাহন চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি হতো। সড়ক যেনো ছিলো মরণ ফাঁদ। এই সড়কে প্রায়ই ঘটতো দূর্ঘটনা। জলাবদ্ধতা নিরসনের ফলে এখন আর সেই অবস্থা নেই। মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র হাজী ফয়সাল বিপ্লবের ব্যক্তিগত সহকারী সোহেল আরমান বলেন, উত্তর ইসলামপুরের শেষ প্রান্তে ৫০টি পরিবার জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির ফলে চলাচলে অসুবিধায় পড়তে হয়েছিলো। এই এলাকার বাসিন্দারা মেয়রকে তাদের ভোগান্তির কথা জানালে মেয়র মহোদয় তৎক্ষণাৎ জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দেন। এখন এই এলাকার মানুষ শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছে। বৃষ্টি হলে এখন রাস্তায় পানি জমেনা, জলাবদ্ধতা নেই। এখানকার রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। সুফলভোগী মোক্তার হোসেন জানান, উত্তর ইসলামপুরের শেষ অংশে পঞ্চাশ পরিবার বসবাস করতো। জলাবদ্ধতার কারণে রান্না ও গৃহস্থালির কাজে বিড়ম্বনা পোহাতে হতো। পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপের কারণে এখন আর পানি জমেনা। সুফল পেয়েছে ৫০টি পরিবার। পৌরসভার ভিতরে বসবাস করেও যদি ভালো রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারি তাহলে এই পৌরসভা দিয়ে কি হবে ? দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন মেয়র। এখন সহজেই চলাচল করতে পারি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার পর এখন আর যাতায়াতের পথে পানি জমে না।