নিজস্ব প্রতিবেদক
সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালির প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাবাসীসহ দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণকে শারদীয় দূর্গোৎসবের প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আবহমানকাল ধরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপাচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে দূর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। দূর্গোৎসব উপলক্ষে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী একত্রিত হন। সকলের মিলিত বন্ধনে দূর্গোৎসব পরিণত হয় সার্বজনীন উৎসবে। সমাজে অন্যায়, অবিচার, অশুভ ও অসুর শক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তিপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিবছরই দেবী দূর্গার আর্বিভাব ঘটে। সকল আসুরিক শক্তির বিনাশ ও বিশ^জননীর সকল সন্তানদের মঙ্গলময় জগৎজননীরূপে, মা দূর্গা পূজায় যে মন্ত্র উচ্চারিত হয়, তা সকল ধর্মাবলম্বী লোকের জন্য হিতকর সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি ও মঙ্গলময় জীবন কামনার প্রার্থনা করে।
তিনি বলেন, সকল ধর্মেই শান্তির কথা বলা হয়েছে। শান্তি মানবতা ও কল্যাণই ধর্মের শাশ^ত বাণী। দূর্গোৎসবের এই মহতী ক্ষণে প্রার্থনা করি, দেশের সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি অর্জিত হোক। শারদীয় দূর্গোৎসবের এই মহাক্ষণে সমগ্র বিশে^র শান্তি ও সকল জনগোষ্ঠীর সুখময় ও মঙ্গলকর জীবন কামনা করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান সকলের মিলিত রক্ত-স্রোতধারায় অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ আপ্ত বাক্যে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করব।
অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস বলেন, শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আসুন সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একটি কল্যাণকর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে ব্রতী হই। অসাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করি। জয় আমাদের হবেই। জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।