নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিনির্মাণে অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের মা-বোনেরা ঘরে বসে না থেকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করলে আমরাই হবো আগামী পৃথিবীর সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ।
গতকাল রোববার মুন্সীগঞ্জ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা এবং মুন্সীগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন- সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, এড. সোহানা তাহমিনা, এড. শামছুন নাহার শিল্পী, এড. নাছিমা আক্তার, মো. নাজীর হাসান। অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন অধ্যাপক নাসিমা আহমেদ, শিরীন আক্তার, সাংবাদিক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল ও মো. ফয়সাল আলমসহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, একটি জাতির অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অচল করে রাখা আর এক পায়ে হাঁটার চেষ্টা করা একই কথা। যে জাতি নারীজনগোষ্ঠীকে ঘরে আটকে রেখে তাদেরকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বাইরে রাখবে সেই জাতির উন্নতির কোন সম্ভাবনা নেই। তাই জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণের একটি সুন্দর সমন্বয় সাধন করা প্রয়োজন। আমাদের মা-বোনেরা ঘরে বসে না থেকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করলে আমরাই হবো আগামী পৃথিবীর সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ। নারী সমাজকে সমৃদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজে লাগাতে হবে, তাদেরকে ঘরে বন্দি করে রাখলে চলবে না।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির সকল আন্দোলন-সংগ্রামে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমানভাবে অংশগ্রহণ করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা রাইফেল হাতে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেয়া, সন্তান ও স্বামীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধে পাঠানো, যুদ্ধের খবর সংগ্রহসহ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনকে সহজতর করতে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলেছিল বাংলার নারী সমাজ।
তিনি বলেন, পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা নারী-পুরুষ উভয়কেই মানবিক গুণাবলী, বুদ্ধিমত্তা ও মেধা দান করেছেনÑ দক্ষতা অর্জনের সকল ধরনের যোগ্যতা দান করেছেন। মানুষই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব; আর তা সম্ভব হয়েছে কেবল মানুষের মুদ্ধিমত্তা ও মেধার শ্রেষ্ঠত্বের কারণে। কাজেই একজন নারীকে তার বুদ্ধিমত্তা, মেধা ও যোগ্যতা প্রমাণের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।