নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অবহেলিত এই উপজেলা উন্নয়নের ছোঁয়ায় যেন বদলে গেছে। বাস্তবায়িত হয়েছে ডিজিটাল গজারিয়ায়। গজারিয়ার উন্নয়নে মেধা ও দক্ষতার মাধ্যমে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী। করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাপক সফলতা বয়ে এনেছেন। গজারিয়াকে করোনামুক্ত করতে কাজ করেছেন তিনি। করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় শতভাগ টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, টিকাগ্রহণে জনসাধারণকে আগ্রহী করে তুলতে নানা ধরনের উদ্বুদ্ধকরণ সভা, সমাবেশ, প্রচারণা অব্যাহত রেখেছিলেন। এছাড়াও করোনা মোকাবেলায় আর্থিক সাহায্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে গেছেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী।
এই উপজেলার সড়ক ব্যবস্থা ছিল জরাজীর্ণ। পথচারীদের দূর্ভোগের শেষ ছিল না। তার যোগদানের পর থেকে এসব জরাজীর্ণ সড়ক ব্যবস্থায় সংস্কার কাজ শুরু হয়। উপজেলার প্রতিটি সড়কে লাগে উন্নয়নের ছোঁয়া। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়নেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গজারিয়াকে মাদক, সন্ত্রাস, অপরাধ মুক্ত করে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায়ও কাজ করেছেন তিনি। শিল্পোন্নয়নে দেশের প্রথম সারির উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতেও জিয়াউল ইসলামের ভূমিকার কমতি ছিল না। এখানকার প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বর্তমান সরকারের দারিদ্র বিমোচন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ১৮৭টি পরিবারকে গৃহদান করেছেন তিনি। তার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি পরিবারকে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০টি পরিবার, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে ১৭টি পরিবারকে গৃহদান করে দরিদ্র মানুষের মাঝে সরকারের গৃহায়ণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী। ফলে গজারিয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীনরা সঠিকভাবে পুনর্বাসিত হয়েছে। সফল হয়েছে সরকারের এই প্রশংসনীয় উন্নয়নমূলক ও মানবসেবামূলক কার্যক্রম।
বর্তমান সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল বাংলাদেশে উত্তরণে মুক্তির উৎসব এবং সুবর্ণজয়ন্তুী উপলক্ষে গত বছরের ১৭ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত নানা উৎসব পালন করেছে। সেই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাতেও নেয়া হয় ব্যাপক কার্যক্রম। এই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে গজারিয়া ছিল আনন্দ ও উৎসবমুখর। সফলতার সঙ্গে এসব কর্মসূচী পালন করার মাধ্যমে উপজেলাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
গজারিয়াকে ডিজিটাল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে উপজেলা সদরসহ ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতেও আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এখন এই উপজেলার মানুষ তথ্যকেন্দ্রের সেবার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রমসহ বহিঃর্বিশ্বে কর্মসংস্থানের সুফল ভোগ করছেন। এই নদীবিধৌত উপজেলার মানুষকে এখন আর উপজেলা সদরে এসে চাকরির জন্য আবেদন করতে যেতে হয় না, জন্ম নিবন্ধনে হয়রানির শিকার হতে হয় না। তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ঘরে বসেই সব করতে পারছেন। এসব ক্ষেত্রে জিয়াউল ইসলামের দক্ষতা ও মেধা গজারিয়াবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও গজারিয়া উপজেলা চত্ত্বরে ছিল না কোন স্মৃতিসৌধ। জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী যোগদানের পর এখানে একটি স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলার দাবি জানানো হয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। তিনি গজারিয়াবাসীর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে উপজেলা চত্ত্বরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। তার মধ্যে পানকৌড়ি, বীরযোদ্ধা ও বন্ধন উল্লেখযোগ্য। যা গজারিয়ার কৃষ্টি কালচার সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে।
এ উপজেলায় শরীরচর্চা কেন্দ্র, লাইব্রেরি স্থাপন, খেলার মাঠ নির্মিত হয়েছে। গজারিয়ার এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড সরকারের নির্দেশে বাস্তবায়ন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী। শুধু তাই নয়, জাতীয় প্রতিটি কর্মসূচী পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এই সৎ ও নিষ্ঠাবান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
গজারিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরে যাতায়াত সহজ করতে গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ ফেরি চালু করতেও তিনি ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণসহ সরকার প্রদত্ত ডিজিটাল সার্টিফিকেট, স্মার্টকার্ড প্রদানেরও ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
উপজেলার উন্নয়নে প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যের পরামর্শক্রমে উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, সকল দপ্তর ও জনগণের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতায় গজারিয়া উপজেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে গেছেন। বলা চলে, সরকারের নির্দেশে গজারিয়ার প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে এই উপজেলাবাসীর প্রশংসার দাবিদার হয়ে উঠেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী। তার কৃতকর্মের অবদানেই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন গজারিয়াবাসীর কাছে।