নিজস্ব প্রতিবেদক
বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দিতে মোটা অঙ্কের অর্থ না দিলে সার্টিফিকেট মিলে না। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স পেতে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হয়। এমনই একটি অভিযোগ ডিজিটাল পেপার মিল থেকে উথাপন করা হয়েছে। উক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও বিচারের নামে নানা অনিয়ম করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই প্রতিবেদকের কাছে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি চেয়ারম্যানের নির্দেশে বাড়ি থেকে লোক ধরে এনে মারধর করা হয়। অবশেষে সেই লোক গজারিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ধরনের একটি অভিযোগ গজারিয়া থানায় করেছে বলেও জানা যায়।
বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সরেজমিনে গেলে এ ধরনের ঘটনার সত্যতা মিলবে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও আব্দুল মোনায়েম কোম্পানি চাঁদাবাজির অভিযোগ উথাপন করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিল। বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় দল থেকেও তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বহিস্কার করা হয়। সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য তার রয়েছে লাঠিয়াল বাহিনী। যাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ সর্বদা তটস্থ থাকে। এই প্রতিবেদকের কাছে তার নানা ধরনের অপকর্মের একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তার পালিত লাঠিয়াল বাহিনীর দ্বারা সাংবাদিক সোলায়মান শিকদার হয়রানির শিকারসহ নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। এ ব্যাপারে গজারিয়া থানাতেও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এমনকি গতকালও গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি অবহিত করেছেন এবং তার নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক সোলায়মান শিকদার।
এদিকে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুজ্জামান জুয়েলকে ২০২২ সালের নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলায় যথাসময়ে হাজির না হওয়ায় জেল হাজতে প্রেরণ করেছে ঢাকা সিএমএম আদালত।
জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারী তিনি এম সি নং- ১৩৫/২০২০ মামলায় হাজির হতে যান। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘদিন মামলায় হাজির না হওয়ায় ও আই এস .০৬১(খ)(চ)৬৬(ক)(ঘ) ধারার অপরাধে নৌ আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) আলাউল আকবর বালিয়াকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুজ্জামান জুয়েলকে হাজতে প্রেরণ করেন।
এদিকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে পরিবারের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল এর ছোট ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মন্টু জানান, আমরা পারিবারিকভাবে বাল্কহেড ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসা আমি ও মেঝ ভাই দেখলেও বাল্ক হেডের কাগজে মালিক বড় ভাই ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুজ্জামান জুয়েল। ২০২০ সালে অদক্ষ চালক, সুকানীদের কারণে বাল্কহেডের নামে মামলাটি হয়। দূর্ভাগ্যবশত মামলায় নিয়মিত হাজির না হওয়ায় বাল্কহেডের মালিক হিসেবে উনাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।