নিজস্ব প্রতিবেদক
একটি সেতু বদলে দিতে পারে পুঁটিমারা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন জীবন। অথচ এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ হচ্ছে না বছরের পর বছর। আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সেতুর জন্য তা জানা নাই কারও। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের কেয়টখালী হয়ে পুঁটিমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জনচলাচলের রাস্তা থাকলেও সেতু না থাকায় জনদূর্ভোগে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সহস্রাধিক লোক বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। সেতু থাকলে সিএনজি, লেগুনা, নছিমন, করিমন, ভ্যান, রিকশা, অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারতো। মহাসড়কে এইসব যানবাহন চলাচল করা সরকারিভাবে নিষেধ করা আছে। এ সেতুটি না থাকায় পণ্য সরবরাহে ভাড়া লাগে দ্বিগুণ যা সাধারণ ক্রেতাদের ওপর বর্তায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ষোলঘর ইউনিয়নের পুঁটিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে কেয়াটখালী রোডটিতে সেতু না থাকায় কোন যান চলাচল করতে পারে না। বৃষ্টির দিনে এই সড়ক সেতু না থাকায় প্রায়ই দূর্ঘটনার কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ। এতে করে যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগে বেশি। সেতুটি না থাকায় অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
পুঁটিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী বেগম বলেন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এখনো নৌকা, সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দীন বলেন, রাস্তা ও সেতু না থাকায় হেঁটে পুঁটিমারা স্কুল পরিদর্শন করতে যাই। এ যেন অজপাড়াগাঁও। রাস্তা ও সেতু হলে স্কুলসহ গ্রামটি আলোর মুখ দেখবে।
ষোলঘর ইউপি সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান) ইয়ানুছ বেপারী বলেন, বৃষ্টির দিনে সেতুটি না থাকায় চলাই দুষ্কর হয়ে পড়ে। পুঁটিমাড়া যেতে ২টি সেতু লাগবে। চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছি অল্পদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।
ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্রিজ ২টি হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। এই সেতুটি না থাকায় যাতায়াতসহ সব ধরনের যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেতুটি পাকা করা অতি জরুরি। এই সেতুটি যাতে পাকা করা হয় এজন্য আমাদের মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের এমপি বিকল্পধারা বাংলাদেশ প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি. চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।