নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২০ সালে এসএসসি ও এসএসসি সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী।
গত ৩১ (মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি ইউএনও গজারিয়া মুন্সীগঞ্জ নামে তার অফিসিয়াল ফেইজবুক আইডিতে এ অভিনন্দন জানিয়ে লিখেন আলহামদুলিল্লাহ! মুন্সীগঞ্জ জেলায় এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) সব পরীক্ষায় গজারিয়া বেশ ভাল করেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত রেখে আরও ভাল করার প্রত্যয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। মাধ্যমিক পরীক্ষায় মুন্সীগঞ্জ জেলার মধ্যে সেরা হয়েছে গজারিয়া। মুন্সীগঞ্জ জেলায় এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল সব পরীক্ষায় গজারিয়ায় গড় পাশের হার ৯৬.৮৮ শতাংশ, মোট জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১০১ জন।
এসএসসি পাশের হার ৯১.০৮, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ জন, দাখিলে পাশের হার ৯৯.৫৮, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন এবং ভোকেশনালে পাশের হার শতভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
তার ফেইসবুক আইডিতে তিনি আরো লিখেন, “প্রিয় এসএসসি, এসএসসি দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) সমমানের পরীক্ষার্থীরা তোমরা যারা কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করেছো তোমাদেরকে জানাচ্ছি, আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিবাদন। আজকের এই স্মরণীয় দিনটিকে তোমরা সেলিব্রেট করো। আনন্দগুলি বাবা, মা পরিবারের সাথে ভাগ করে নাও। আর যারা কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করতে পারোনি, মন খারাপ করে ঘরের কোনে বসে আছো, তাদেরকে বলছি আজ মন খারাপের দিন নয়, আজ জেগে উঠবার দিন। আজ গোপনে হেসে উঠে শক্তি সঞ্চয় করবার দিন। বিশ্বাস করো আজ তোমার এই ব্যর্থতায় তুমি যে কষ্ট পাচ্ছো এই কষ্টকে, এই শোককে যদি তুমি শক্তিতে পরিণত করতে পারো তবে তুমিই হতে যাচ্ছো আগামী দিনের বিজয়ী!
পৃথিবীর সমস্ত বড় বড় মনিষী ও সাফল্যপ্রাপ্ত মানুষের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, তারা প্রত্যেকেই কোন না কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সেই ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েই ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। তাই তোমাদের কাছে অনুরোধ মন খারাপ নয়, লক্ষ্য স্থির করে জেগে উঠো আজকেই। কাজে লেগে যাও। তোমার জন্য অপেক্ষা করছে এক অসীম সম্ভাবনা। প্রতিটি মানুষই তার স্বপ্নের সমান বড়।”
অভিভাবকবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার কাছে অনুরোধ উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তির ক্ষেত্রে আপনার সন্তানের পছন্দের বিষয়টি তাকেই নির্ধারণ করতে দিন। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি স্কুলের সব থেকে ভালো সাফল্য অর্জনকারী ছাত্র/ছাত্রীটিও অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনা। কালের অতলে হারিয়ে যায়। অভিভাবকগণের মাত্রাতিরিক্ত উৎসাহ ও আদর এর অন্যতম কারণ। তাই আপনার সন্তানের ধারাবাহিক সাফল্য অর্জনে আরো যত্নশীল ও মনোযোগী হোন। মনে রাখবেন, ২০৩০ সাল নাগাদ যখন আপনার সন্তান চাকুরী/ ব্যবসায়ে প্রবেশ করবে বিশ্বায়ন ও উন্নত বাংলাদেশের সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেতৃত্ব ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন করে তাকে প্রস্তুত করতে এখুনি মনোনিবেশ করুন। জয় হোক আমাদের প্রিয় সন্তানদের। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে যোগ্য হয়ে গড়ে উঠুক প্রিয় সন্তানেরা এই আমাদের শুভ কামনা।
এসএসসি ও এসএসসি সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়েছেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী
আগের পোস্ট