নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবুল কাশেম করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি ১৯৫০ সালের ১জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা- মৃত মোঃ রুস্তম আলী। তিনি ১৯৭২ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পঞ্চম এবং ১৯৭৩ সালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে তৃতীয় স্থান লাভ করেন। সরকারী চাকুরী জীবনে তিনি মহকুমা ও জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব ছিলেন। ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউএনডিপির ন্যাশনাল কনসালটেন্ট, বেতন ও চাকরি কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবুল কাশেম মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্থানীয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ডে অংশ নেওয়ার কারণে ১৯৭১ সালে মুন্সীগঞ্জ অ্যাসিসটেন্ট সাব মার্শাল’ল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে গ্রেফতারের নির্দেশ পাঠানো হয়। তিনি একজন সৃজনশীল লেখকও। ইতিমধ্যে প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ “মেঘনা নদীর বাঁকে” ও “নিয়তি” সচেতন পাঠকের মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, তিনি গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশন এর ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি আমিরুল ইসলাম এর বড় ভাই। সজ্জন ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ আবুল কাশেম এর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।