নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলাধীন ভবেরচর ইউনিয়নের ভবেরচর ওয়াজির আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় টু লক্ষীপুরা খালের উপর তিন কোটি টাকায় নির্মিত ব্রীজের এপ্রোচে মাটি না থাকায় এই পথে চলাচলরত হাজার হাজার মানুষ আর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতরত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত পড়ছে দূর্ভোগে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবেরচর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র ভবেরচর বাজারস্থ ওয়াজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ল্যান্ডোভারী স্কুল, কলিম উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ইউপি অফিস, ইউপি ভূমি অফিস, বাজারসহ উপজেলা পরিষদের সাথে যোগাযোগের উন্নয়নে এই ব্রীজ নির্মাণ করেছিল এলজিইডি। যার নির্মাণ ব্যয় ছিল তিন কোটি টাকার উপরে। কিন্তু সামান্য এপ্রোচ সড়কের মাটি ভরাটের অভাবে ব্রীজটি সেভাবে ব্যবহার উপযোগী হচ্ছে না।
এ পথে যাতায়াতকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান জানান, মাটি থেকে পাহাড় সমান উঁচু ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত অনেক কষ্টসাধ্য। অনেকে বাধ্য হয়ে এক কিলোমিটার ঘুরে বাজার দিয়ে স্কুলে আসে যা আমাদের জন্য অনেক সময়সাপেক্ষ। আমাদের কথা চিন্তা করে হলেও ব্রীজটি ব্যবহারে উপযোগী করা উচিত।
দেখা যায়, ব্রীজের পাশেই দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া। বিদ্যালয় দুইটিতে সরকারী উচ্চ ভবন, দেয়াল ঘেঁষেই এই ব্রীজ, অথচ সামান্য এপ্রোচের মাটি ভরাটের জন্য দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রশ্নাতীত হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মনে কষ্ট নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ ফরাজী বলেন, কোটি টাকার ব্রীজ, কোটি কোটি টাকার স্কুল ভবন, সরকারের সব উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাচ্ছে সামান্য এপ্রোচ সড়কের জন্য। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান।
ভবেরচর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোঃ লিটন বলেন, এই মুহুর্তে এপ্রোচ সড়কের মাটি ভরাট খুবই জরুরী। লক্ষীপুর গ্রামের শত শত শিক্ষার্থী অনেক কষ্ট করে এ পথ দিয়ে যাতায়াত করে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। বিষয়টি সমাধানে তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইশতিয়াক আহম্মেদ বলেন, এপ্রোচ সড়কের জন্য মাটি বরাদ্দ ছিল। কিন্তু স্থানীয় এক বাড়ির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে কাজটি বন্ধ ছিল। আবারো আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।