নিজস্ব প্রতিবেদক
কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে গজারিয়ার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে বুড়াই চকে সোলার পাম্প বসানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। কিন্তু সোলার পাম্প বসানোর কাজ ধীরগতির কারণে প্রায় একশ বিঘা জমিতে ইরি আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের বুড়াই চকে সোলার পাম্প বসানোর স্থানটি ঘুরে দেখা গেছে, সোলার প্যানেল এবং ড্রেনেজ সিস্টেমসহ প্রকল্পের যাবতীয় কাজ চলমান রয়েছে। সেচ ঘরে তালা ঝুলছে। অপরদিকে বিভিন্ন আকৃতির বেশকিছু পিলার মাটিতে পড়ে আছে।
প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আহাদ উল্যাহ, শহিদুল্লাহ, ছলিম উল্যাহ, মোখলেছ মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, সুলভ মূল্যে সেচ সুবিধা দেওয়া হবে এমন আশ্বাসে বিএডিসির আওতায় বুড়াই চকে সোলার সেচ পাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করে গতবছর জুন অথবা জুলাই মাসে। কথা ছিলো এ মৌসুমে আমরা অল্প খরচে পানি দিয়ে জমিতে ইরি আবাদ করবো। ঠিকাদারের গাফিলতি ও সোলার সেচ পাম্প স্থাপনের কাজে ধীরগতির কারণে সময়মতো বুড়াই চকে অন্তত ১শ বিঘা জমিতে ইরি আবাদ করতে পারিনি। এতে করে লক্ষ্মীপুরা গ্রামের শত শত কৃষক পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। বিষয়টি দ্রুত সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকেরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল আরাফাত বিন ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম। আগামী উপজেলা পরিষদে মাসিক উন্নয়ন সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএডিসি গজারিয়া উপজেলায় কর্মরত এক কর্মকর্তা বলেন, কবে কাজ শুরু হয়েছে এবং বরাদ্দ কতো কিছুই জানি না। কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে তথ্য অফিসে আপনারা আবেদন করেন সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।