নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়ন অন্তর্গত ও টেঙ্গারচর ইউনিয়নের মীরেরগাঁও হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রীজ অতিক্রম করে মেঘনা নদীর শাখায় পতিত খাল খনন প্রকল্পে নিয়ম বহির্ভূত খনন কাজে একাধিক জাতীয় গ্রিডের গ্যাস লাইনের পাইপ ও সরকারী বিভিন্ন কার্যক্রমের কেবল লাইন উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খাল খনন প্রকল্প কাজে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রীজের নিচ দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৩টি গ্যাস লাইনের পাইপ উন্মুক্ত এবং একাধিক কেবল লাইন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ৩টি গ্যাস লাইনের পাইপ খাল খননের পূর্বে ৩ থেকে ৪ ফুট মাটির নিচ দিয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু খাল খনন প্রকল্পে নিয়ম বহির্ভূতভাবে খনন কাজে ১২ থেকে ১৫ ফুট গ্যাস লাইনের পাইপ উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে একাধিক পাইপলাইন উন্মুক্ত হয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে অসাধু কতিপয় ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোঃ লিটন এবং টেঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসান ফরাজী জানান, খাল খনন প্রকল্পটি কোন স্থান থেকে কতদূর পর্যন্ত কাজ চলছে বিষয়টি কিছুই অবগত নন। খাল খনন প্রকল্পে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নামও জানা নেই। প্রকল্প কাজে গ্যাস লাইন পাইপ উন্মুক্ত হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কার বিষয়টি শুনেছেন।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস কোম্পানীর নারায়ণগঞ্জ শাখার জিএম প্রকৌশলী সুরুজ আলম জানান, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবগত ব্যতীত গ্যাস লাইন উন্মুক্ত করা অনিয়ম ও অন্যায়। খাল খনন প্রকল্পে গ্যাস লাইন পাইপ উন্মুক্ত করা হয়েছে বিষয়টি তিনি অবগত নন। সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা বিএডিসি কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাহবুব হোসেনকে বারবার মোবাইল করে এবং হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ দিয়ে কল গ্রহণ ও মেসেজে উত্তর না দেয়ায় কোন মতামত পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, বিষয়টি পূর্ব থেকেই অবগত নই। সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।