নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং সঞ্চালন লাইনে চেক ভাল্ব স্থাপন করতে গিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েছে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করা হয়, তাদের বাধার মুখে কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয় তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা হাঁস পয়েন্ট এলাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং সঞ্চালন লাইনে চেক ভাল্ব স্থাপন করতে যায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের লোকজন। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মর্নিং সান হাইওয়ে হোটেলের পশ্চিম পাশে একটি জায়গায় চেক ভাল্ব স্থাপনের জন্য মাটি অপসারণ করতে থাকে তিতাসের লোকজন। এসময় স্থানীয়দের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এই এলাকার বৈধ, অবৈধ সব গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। দুপুর তিনটার দিকে স্থানীয় একটি মসজিদের মাইকে তিতাসের এই কার্যক্রম বন্ধ করতে স্থানীয়দের এগিয়ে এসে প্রতিরোধ করতে ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর কয়েকশো গ্রামবাসী ওই স্থানে জড়ো হলে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পুলিশের উপস্থিতিতেই তিতাসের লোকজনের উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা। স্থানীয়দের তোপের মুখে বাধ্য হয়ে দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে তাদের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ ঘোষণা করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিতাস গ্যাসের মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা চেক ভাল্ব স্থাপন করতে গিয়েছিলাম। চেক ভাল্ব মূলত একটি স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ডিভাইস। এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট এলাকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা, গ্যাসের প্রবাহ একটি নির্দিষ্ট দিকে রাখাসহ আরো অনেক রকমের কাজ করা যায়। সমগ্র গজারিয়া উপজেলার অন্তত চারটি স্থানে এরকম চেক ভাল্ব স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করি আমরা। এটি ছিলো প্রথম। এ কাজের জন্য সমগ্র গজারিয়া উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে যে এলাকায় চেক ভাল্ব স্থাপন করা হচ্ছে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে আমাদের তিনদিনের মতো সময় লাগতো। সেজন্য ওই এলাকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের তিতাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়া হয়। গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও স্থানীয়দের বাধায় পরবর্তী কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।