নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে প্রতিবেশীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে তিন নারীসহ ৫ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর বালাশুর নতুনবাজার খালপাড় এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত রুবেল, নদী আক্তার, শিপনী আক্তার, সুফিয়া বেগম, শহিদুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় আহত নদী আক্তার বিলকিস বাদী হয়ে কিনাই মাদবরসহ ৪ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন গভীর রাতে প্রতিবেশী মৃত সায়েদ মাদবরের ছেলে কিনাই মাদবর, ছেলে রাকিব মাদবর, মেয়ের জামাতা মজনু ও ভায়রা জসিমসহ আরো কয়েকজন সুকৌশলে জানালা দিয়ে নদী আক্তারের উত্তর ভিটির টিনের বসতঘরে ঢুকে নদীর স্বামী রুবেলসহ নদীকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। তাদের চিৎকারে নদীর মা সুফিয়া, ছোট বোন শিপনী ও ভাই রুবেল এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে এবং ঘরের আলমারিতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন রাতে শ্রীনগর শ্যামসিদ্ধি এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা দুইজন ছেলেকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের আব্দুলপুর পরিবহনের একটি বাস নিয়ে ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে এলাকার লোকজন তাদের চোর সন্দেহে আটক করে। কেন তারা এত রাতে এলাকায় ঘোরাফেরা করছে জানতে চাইলে ঐ ছেলেরা স্বীকার করে যে, তারা ঐ এলাকা থেকে গাঁজা ক্রয় করে বিলের দিকে গিয়ে সেবন করে চলে যেত। ঐসময় তথায় উপস্থিত নদীর স্বামী রুবেল বলে কার কাছ থেকে গাঁজা ক্রয় করবি বল যে, তোরা কিনাই মাদবরের কাছ থেকে গাঁজা ক্রয় করতে আসছিস। একথা শুনার পর কিনাইয়ের ছেলে রাকিব বলে আপনি আমার বাবার নাম কেন বলতে বলেন। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবির্তকের একপর্যায়ে রুবেল নিজবাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে কিনাই মাদবর গং নদীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কিনাই মাদবরের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উল্টো তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য ঐ ছেলেদের দিয়ে রুবেল আমার নাম বলাতে চেয়েছিল। আমার ছেলে রাকিব প্রতিবাদ করলে তারা আমাকেসহ আমার ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে মারধর করে আহত করেছে। অভিযোগ তদন্তকারী অফিসার শ্রীনগর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) আবিদ হাসান বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।