নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় টানা দুই-তিনদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে গ্রামীণ পাকা ও কাঁচা সড়কগুলোর বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামীণ কাঁচা সড়কগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পাকা সড়কগুলোতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কোথাও কোথাও ধসে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলার জামালদী-গজারিয়া লঞ্চঘাট সড়ক, জামালদী-মাথাভাঙ্গা সড়ক, বালুয়াকান্দী-আড়ালিয়া সড়ক, আব্দুল্লাহপুর সড়ক, আনারপুরা-উত্তর শাহপুর সড়ক, আলীপুরা-চর পাথালিয়া সড়ক, ভবেরচর কালী গাছতলা-কালীপুরা ফেরী ঘাট সড়ক, রসুলপুর খেয়াঘাট-ষোল আনি, দৌলতপুর সড়ক, দড়ি বাউশিয়া-পোড়াচক বাউশিয়া খেয়াঘাট সড়ক, পুরান বাউশিয়া, মনাইরকান্দী সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, গত দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে শিল্পাঞ্চল এলাকা ও সড়কের দু’পাশে পুকুর, খাল, বিল, নদী-নালা ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ করায় কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে অনেক স্থানে ধসে গিয়ে ছোট-বড় গর্তে পরিণত হওয়ায় অটোবাইক, মোটরসাইকেলসহ ছোট-বড় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বিশেষ করে উপজেলার জামালদী গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজের জন্য অস্থায়ী মাটির সড়কটি ভেঙ্গ যাওয়ায় এই পথে চলাচলরত মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। বালুয়াকান্দী-আড়ালিয়া, আব্দুল্লাহপুর সড়কের একাধিক স্থানে জলাবদ্ধতাসহ খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দু’এক স্থানে ধসে বড়, ছোট গর্ত ও ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।
গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নসহ একাধিক গ্রামে দেখা গেছে, মাটির কাঁচা সড়কগুলো কাদায় পরিণত হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ওইসব সড়কে হাঁটু সমান কাদা হওয়ায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘর থেকে বের হন না। কেউ জরুরী প্রয়োজনে বের হলেও দূর্ভোগে পড়ছেন। এছাড়া উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারাইটারী এলাকা থেকে শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের মিয়াপাড়া যাওয়ার প্রায় চার কিলোমিটার কাঁচা সড়কটির বেহাল দশা।
সড়কের বেহাল দশা স্বীকার করে ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু জানান, টানা বৃষ্টিতে গ্রামীণ রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই করুণ। তারপরও চরম দূর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। এসব রাস্তার মেরামতসহ পাকাকরণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহম্মেদ জানান, ইতোমধ্যে আটটি ইউনিয়নের ভাঙ্গাচুরা ও চলাচলের অযোগ্য সড়কগুলোর তালিকা করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। আশা করি, পর্যায়ক্রমে গ্রামীণ সড়কগুলো মেরামতসহ পাকাকরণের কাজ করা হবে।