নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার এক জমির মালিক স্থানীয় দালাল ও প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রতারণার শিকার হয়ে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার মৃত সুনর উদ্দিন ভূইয়ার পুত্র দাবী করা জমির মালিক সালাউদ্দিন এ ঘটনায় মোঃ আবুল কালাম গংদের নামে গজারিয়া থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন। সাধারণ ডায়রী সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারী মোঃ আবুল কালাম গংদের সাথে একটি বায়না পত্র দলিল করে সালাউদ্দিন যাহার আর এস দাগ ৩৮৪ সি এ ও এস এ দাগ ৩১৯ মৌজা ০৪ ও ০৬ নং লস্করদী ও ভবানীপুরস্থ পুকুর, নাল, জমিসহ মোট ৮৬ শতাংশ। যাহার মূল্য দুই কোটি বিশ লক্ষ টাকা। কিন্তু বায়না বাবদ ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করে আমাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বায়না পত্র দলিল বিনষ্ট করে আমার অজান্তে সাব কাবলা দলিল রেজিষ্ট্রি করে নেয়। বায়না পত্র দলিলে ১৫ দিন পর সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে সাব কাবলা রেজিস্ট্রি করার কথা ছিল। কিন্তু আমাকে কৌশলে ঢাকার কাওরান বাজারে তার নিজ অফিস টিকে ভবন (২য় তলা) সাব কবলা দলিল রেজিস্ট্রির জন্য নিয়ে যায়। যাহার সাব কবলা দলিল নং ২২০/২০২০ইং। পরে এ বিষয়ে আপোষ মীমাংসার কথা বলে তালবাহানা শুরু করে। আমি ২,২০,০০০০( দুই কোটি বিশ লক্ষ) টাকার স্থলে মাত্র ২০ লক্ষ টাকা পাই। বাকী দুই কোটি টাকা আমি বুঝিয়া পাইনাই এখন আমি আমার জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এদিকে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সালাউদ্দিন ভূইয়া গত ৫ মার্চ বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত ঢাকায় একটি সি আর মামলা করে যাহার নং ৪৩৯/২০২০। এই মামলায় ১১ জনকে আসামী করা হয়। আসামীরা হলেন সুপার ফরমিকা এন্ড লেমিনেশন লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম, অন্য সহযোগীরা হলেন তাসলিম মিয়া, মো. হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব, মো. জামান, মো. আলমগীর মেম্বার, মো. সামছুল হক, মো. শরিফ উদ্দিন, মো. রেজাউল, মো. রাশেদ, ইমরান খান, মো. সাইদুর রহমান। দাবী করা জমির মালিক সালাউদ্দিন বলেন, আমার দায়ের করা মামলায় আমার পক্ষে ২নং সাক্ষী আমার ভাতিজা হেলাল উদ্দিন ভূইয়াকে মামলার ৫নং আসামী আলমগীর নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত এবং মিথ্যা মামলা ও গুম করার হুমকি দিচ্ছে। হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। জমির মালিক সালাউদ্দিন বলেন, আমার এই মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে রয়েছে তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। আমি ন্যায় বিচার চাই। আর আগে এই প্রতারকদের ব্যাপারে আমি মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার ও গজারিয়া থানার ওসিকে অবগত করেছি। আমি এখন টাকাও পাচ্ছিনা জমিও পাচ্ছিনা। সব হারিয়ে দিশেহারা। এ বিষয়ে গজারিয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মাসুদ মুঠো ফোনে জানান, ৮৬ শতাংশ দাবী করা জমির মালিক সালাউদ্দিন গজারিয়া থানায় সুপার ফরমিকা এন্ড লেমিনেশন লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালামের নামে জায়গা সম্পত্তি বিষয় নিয়ে সাধারণ ডায়রী করেছেন। পরে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের সার্কেল এসপির নির্দেশক্রমে আমি সুপার ফরমিকা এন্ড লেমিনেশন লিমিটেডে দুইবার যাই বিষয়টি তদন্তের উদ্দেশ্যে। কিন্তু শিল্পপতি মো.আবুল কালামকে না পেয়ে জমি-জমা বিষয়ে কোর্টে মামলা দিতে পরামর্শ দেই ভুক্তভোগী সালাউদ্দিনকে। পরে জেনেছি, তারা ঢাকায় বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে জানতে সুপার ফরমিকা এন্ড লেমিনেশন লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবুল কালামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।