নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় দিনভর ছিল শ্রাবণের ভারি বৃষ্টি। কোথাও সূর্যের দেখা নাই। যার প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। গ্রামগুলোতে দেখা গেছে জলযট। দিনভর বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শ্রাবণের প্রথম ভাগের রোদ-গরমে কাটিয়ে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। গত কয়েকদিন মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হলেও গতকাল রবিবার সারাদেশের ন্যায় গজারিয়ায়ও ভারি বর্ষণ হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে দেখা গেছে, ঢাকা ও পাশর্^বর্তী এলাকায় আজ সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম বলেছেন, আরও এক/দুইদিন পর ভারি বৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে। তিনি আরো জানান, গতকাল রবিবার রাজধানীতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুন্ডে ১৮৮ মিলিমিটার। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় দেশের সর্বত্র বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এ প্রবণতা আরও দু’দিন থাকবে। পরবর্তীতে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
সারাদিনের বৃষ্টিতে উপজেলার একাধিক স্থানে দেখা গেছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে উপজেলার শিল্পাঞ্চল এলাকা তেতৈতলার আনোয়ার সিমেন্ট, বাউশিয়ার কাজী ফার্মস, হোসেন্দীর সিটি গ্রুপ এলাকাগুলোতে পুকুর, খাল, নালা, বিল ভরাট ও রাস্তার দু’পাশ ভরাট হয়ে বাড়ি-ঘর গড়ে ওঠায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে দিনভর বৃষ্টির কারণে আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। মার্কেটগুলোতেও দেখা গেছে ক্রেতাশূন্য। মহাসড়কেও দেখা গেছে মানুষের উপস্থিতি সামান্য।
ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের অটোরিকশাচালক আলী হোসেন (৫০) বলেন, রাস্তায় মানুষজন কম, ইনকামও কম। তারপরও পেটের দায়ে অটোরিকশা চালাচ্ছি। কিন্তু সারাদিন বৃষ্টির পানির সাথে ঠান্ডা হাওয়া শরীরটা একেবারে কাঁবু করে দিয়েছে। মহাসড়কেও দেখা গেছে মানুষের উপস্থিতি সামান্য।