অবৈধ দুই কারখানায় প্রতিবছর প্রায় আড়াই কোটি টাকার সরকারী গ্যাস চুরি করা হতো
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বালুয়াকান্দি এলাকার রংধনু সিএনজি পাম্পের বিপরীত দিকে বাগানের ভেতর দুটি অবৈধ কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। কারখানা দুইটিতে প্রতিবছর আনুমানিক আড়াই কোটি টাকার সরকারি গ্যাস ব্যবহার করা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল পর্যন্ত একটানা চলে অভিযান। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) জি.এম. রাশেদুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সরুজ আলম, মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক (মিটার এন্ড ভিজিল্যান্স) আতিকুল ইসলাম।
তিতাস গ্যাসের মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, মহাসড়কের পাশে একটি বাগানের ভেতর অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে দুটি কারখানা দীর্ঘদিন ধরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। মহাসড়কের সামনে আনোয়ারা বেগম কফি হাউসের সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও বাগানের ভেতর একটি ঢালাই কারখানা ও একটি চুন তৈরির কারখানা ছিল। ঝোপ-জঙ্গল থাকায় স্থানীয় লোকজনের সেরকম আনাগোনা ছিল না এই এলাকায়। সম্প্রতি তারা কারখানা দুটি সন্ধান পান। অভিযানে কারখানা দুটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দুটি কারখানায় প্রতিবছর আনুমানিক আড়াই কোটি টাকার সরকারী গ্যাস চুরি করা হতো। কোম্পানি দুটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন। অভিযানের সময় কাউকে আটক করা যায়নি। তিতাস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে তারা পালিয়ে যায়। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে গজারিয়া থানা পুলিশ।