নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল সোমবার দিনভর গজারিয়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের ১০টি পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও পূজার্থীদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময় করেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব এবং গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের শত শত নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্লোগান “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার”। এমন স্লোগানকে বুকে ধারণ করে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতিটি উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে সানন্দে পালন করে। প্রতিটি পূজামন্ডপকে কঠোর নিরাপত্তায় নজরদারিতে রেখেছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তাই দেশকে সম্প্রীতির পথে এগিয়ে নিতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, দেশে সংখ্যালঘু বলতে কোন শব্দ নেই। আমরা সকলেই এই স্বাধীন দেশের নাগরিক। দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারছে। তিনি আরও বলেন, দেবীদূর্গা যেরকম মহিসুরকে বধ করে পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন করেছেন। তেমনি স্বাধীনতাবিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্রের জবাব ভোটের মাধ্যমে দিতে হবে। আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে চলেছি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে দেশকে পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শাহজাহান খাঁন, গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব ভূইয়া, গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা, সনাতন সংগঠনের নেতা প্রমুখ।