নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় তীব্র তাপদাহ ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জনশূন্যে পরিণত। বৈশাখের আগে থেকেই ভয়াবহ তাপপ্রবাহে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। কয়েকদিন ধরে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ ও গজারিয়া এলাকায় দেখা দিয়েছে লোডশেডিং ও পানির সংকট। বৈরী আবহাওয়া, বিদ্যুৎ ও পানির সংকটে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা।
গত কয়েকদিন ধরে গজারিয়ায় মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে শিশু, শিক্ষার্থী, রোগী ও ব্যবসায়ীসহ সব বয়সী এবং শ্রেণি-পেশার মানুষকে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় নবজাতক ও রোগীদের। বাইরের কড়া রোদ আর ঘরে বিদ্যুৎ না থাকায় ভ্যাপসা গরমে ঠিকমতো ঘুমাতেই পারছেন না তারা। একটু পরপর বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ঘুমও ভেঙে যাচ্ছে তাদের।
উপজেলার একাধিক অভিভাবকেরা বলছেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে রাতে ঘুম না হওয়ায় দিনের বেলায় এর প্রভাব পড়ছে। পড়াশুনায় মনোযোগী হতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলা লোডশেডিংয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাপদাহের মধ্যে লোডশেডিং দেয়ায় বাসা-বাড়িসহ সর্বত্র অবস্থান নেয়া মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বালুয়াকান্দীর ডাঃ আব্দুল গাফফার স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মোস্তফা কামাল জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এই অবস্থায় তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেকায়দায় আছি।
উপজেলার তেতৈতলা আল আমিন ইসলামী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ জানান, তীব্র গরমের মধ্যে দিনেও লোডশেডিং হচ্ছে, রাতেও বারবার লোডশেডিং হচ্ছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকেরা দিনের তাপদাহে কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠছেন। বিদ্যুতের লুকোচুরিতে ব্যবসায়ীদের বেচা বিক্রি মন্দা দেখা দিয়েছে। একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ওয়ার্ডার নিয়ে সঠিক সময় ডেলিভারি দিতে পারছি না। ঠিকমতো বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে বসে টানা ক্লাস করতে পারছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছেন, উপজেলায় যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন তা পাচ্ছি না, তাই সমস্যা হচ্ছে।