নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ফেমাস জেনারেল হাসপাতালের সামনে ১নং খাস খতিয়ানের জায়গা দখল করে নির্মাণাধীন পাকা স্থাপনাটি ভাঙ্গার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৪ জুন রোববার বিভিন্ন দৈনিক পত্র-পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে “শ্রীনগরে নয়নজুলীর জায়গা দখলের অভিযোগ” শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় ওইদিনই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে জায়গা পরিমাপ করেন। এসময় শ্রীনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট তহশিলদার উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী আব্দুল সামাদ বলেন, জায়গাটি পরিমাপ করার পর লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার বিকালের দিকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি কর্মকর্তা) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, অবৈধভাবে নির্মাণাধীন ভবনটি ভাঙ্গার নির্দেশ দেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কাগজপত্র থাকার কথা বলে সময় চান। তারা এখন পর্যন্ত আসেননি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ফেমাস জেনারেল হাসপাতালে সামনে সড়কের নয়নজুলীর জায়গাটি দখল করে আরসিসি পিলার করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন হাসপাতালটির পরিচালক মো. ইয়ানুছ। জায়গা দখলকারীরা দাবি করছিলেন সংশ্লিষ্টদের মৌখিক অনুমতি নিয়ে ওই জায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কয়েক বছর আগেও ফেমাস জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. ইয়ানুছ ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম আমিনের বিরুদ্ধেও সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ উঠে। শ্রীনগরের তৎকালীন ইউএনও কাজটি বন্ধ করে দেন। এখন সুযোগ বুঝে ১নং খাস খতিয়ানের জায়গাটি ফের দখলে নিতে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে বিশেষ করে সরকারি ছুটির দিনকে কাজে লাগিয়ে রাতের আঁধারে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছিল। নির্মাণাধীন পাকা ভবনটির জন্য পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে বৃষ্টি মৌসুমে ঢলের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।