নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মরা গরুর মাংস বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক কসাইয়ের বিরুদ্ধে। বিষয়টি স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরে ফেললে দোকানে বস্তাবন্দী মাংস রেখে সটকে পড়েন অভিযুক্ত ওই কসাই। ওই কসাইয়ের নাম হোসেন (৩৮)। সে গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের কফিল উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে কসাই দোকানে মাংসগুলো সাজিয়ে বিক্রি করার সময় এলাকাবাসী তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে এলাকাবাসীর কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে কসাই পালিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের শিখিরগাঁও গ্রামে আনোয়ার জুট স্পিনিং মিলস সংলগ্ন তার দোকানে বস্তা ভর্তি করে মাংস নিয়ে আসেন কসাই হোসেন। তবে মাংসের রং এবং গন্ধ দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে ঘিরে ধরেন। স্থানীয়দের তোপের মুখে তিনি স্বীকার করেন গরুটি মরা নয় তবে অসুস্থ অবস্থায় কিনেছিলেন তিনি। গোয়ালগাঁও গ্রাম থেকে অসুস্থ গরুটি মাত্র ২০ হাজার টাকায় কিনে আনেন তিনি। তারপর বাড়িতে জবাই করে চামড়া ছাড়িয়ে সেই মাংস নিয়ে আসেন দোকানে। তবে তার এই কথায় আশ্বস্ত না হয়ে লোকজন তাকে ঘিরে ধরলে তার দুই সহযোগী বারেক ও নয়নকে দোকানে রেখে সটকে পড়ে কসাই হোসেন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজিব খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।