নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাধীনতার বিজয়ের মাত্র সাতদিন আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া গ্রামে পাকবাহিনীর সাথে দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা যুদ্ধে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ী হয় বাংলার এই দামাল ছেলেরা। হানাদার বাহিনীর সাতজন ঊর্র্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা টিকতে না পেরে সারেন্ডার করেন কমান্ডার নজরুল ইসলামের কাছে। তখন তাদের মধ্যে একজন পাকসেনা আকস্মিক গ্রেনেড ছুঁড়ে মারলে শহীদ হন নজরুল ইসলাম। পরে বাউশিয়া পুরনো ফেরিঘাটস্থ কমান্ডার নজরুল ইসলামকে সমাহিত করা হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ৪৯ তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চর বাউশিয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম স্মৃতি সংসদের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম স্মৃতি সংসদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদী। বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা তানেছ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান আইয়ুব, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার শাহজালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল ইসলাম বিল্লাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, বাউশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ছোট ভাই অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য একেএম আমিরুল ইসলাম প্রমুখ। অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন বাউশিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মামুন মেম্বার, বাউশিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল শাহারিয়া, শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের বাউশিয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম সুদীপ, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী জাহানারা বেগম শেফু, উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক তাহরিয়া আক্তার এ্যানী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম।
গজারিয়ায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ৪৯ তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত
আগের পোস্ট