নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘদিন যাবৎ একই কর্মস্থলে কর্মরত আছেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকী।
জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে অদ্যাবধি এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকী ২০১২ সালের মার্চ থেকে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে কর্মরত থাকার কারণে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন সেবাগ্রহীতারা।
গতকাল সোমবার এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যক্তিবিশেষ প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এবং তাদের বদলির দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন গজারিয়াবাসীর পক্ষে সেলিম নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগকারী সেলিম জানান, গজারিয়া উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন ২ বছরের বেশি সময় ধরে একই উপজেলায় কর্মরত থাকার সরকারি বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ৬ বছরের অধিক সময় ধরে তারা গজারিয়া উপজেলায় একই কর্মস্থলে কর্মরত আছেন। দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে থাকার কারণে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন। যার ফলে বিগত একাধিক নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তারা। তাদের কর্মকান্ডে প্রশাসনিক এবং রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাদেরকে অনত্র বদলি করার দাবি জানান সেবাগ্রহীতারা।
জানা গেছে, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকী ২০১২ সালের মার্চ মাসে যোগদান করে এখানে প্রায় ১১ বছর পার করেছেন। অপরদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে যোগদান করে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে একই কর্মস্থলে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন।
এদিকে সরকারি চাকরির বিধি ও পরিপত্র অনুযায়ী, একই কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশি সময় কর্মরত থাকার বিধান না থাকা সত্ত্বেও একই কর্মস্থলে তারা পার করছেন দীর্ঘ সময়।
সেবাগ্রহীতাদের দাবি, উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত থাকায় তাদের আধিপত্যে সেবাগ্রহীতারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, ন্যূনতম যে সেবাটুকু পাওয়া দরকার আর্থিক সুবিধা না দিলে সে সেবাটুকুও মিলছে না। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ। এ দুই কর্মকর্তার অন্যত্র বদলির মাধ্যমে উপজেলায় জনসেবা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
একই কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় থাকার বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকীর ব্যহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।