নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের গোয়ালী মান্দ্রা সুইচগেট খালের মাটি লুট করে ড্রাম ট্রাকে করে বিক্রি করা হচ্ছে। দিনে-দুপুরে খালের মাটি লুট হলেও দেখার যেন কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লৌহজং উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়ন, হলদিয়া ইউনিয়ন ও শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষা এ খালটি গোয়ালীমান্দ্রা সুইচগেট নামক পরিচিত। সেখানে মাটি কাটার যন্ত্র (ভেঁকু) দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে এবং সেগুলো ড্রাম ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। কিছু মাটি কোলাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইকশার একটি ভরাট জায়গার উপরে ফেলা হচ্ছে। কিছু মাটি কবরস্থান রোডে নেয়া হচ্ছে। আর কিছু মাটি মৌছামান্দ্রা পাকা সড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে।
সেখানে থাকা মিঠু নামক এক ব্যক্তি জানান, মেদিনীমন্ডল ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবু এ খালের মাটি কাটছেন ফসলি জমির সমস্যা হওয়ার জন্য। তবে এ মাটি ড্রাম ট্রাকে বিক্রি করা হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না। আপনারা বাবু মেম্বারের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে মেদিনীমন্ডল ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বলেন, এটি রাস্তা ও কবরস্থানে নেয়া হচ্ছে। এটি কি কোন পারমিশন অথবা বরাদ্দ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। পারসোনাল কাজ করা হচ্ছে। আমাদের এই সাইডে পানিগুলো নামছে না, এই জায়গা উঁচু হয়ে আছে। যেগুলো মালিকানা দাবি করা হচ্ছে সেগুলো রেখে কাটা হচ্ছে। এখানে কোন পারমিশন নেই। মেম্বার হিসেবে আমি কাটছি। তিন মেম্বার এক হয়ে কাটছি। নিজের উদ্যোগে। কেউ কি আপনাদের কমপ্লেইন দিয়েছে ? অন্যান্য সাংবাদিকরা তো এসে ধন্যবাদ দিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মেদিনীমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান আশ্রাফ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিক কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
হলদিয়া ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আকবর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে শুনেছি রাস্তার জন্য মাটি নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
কোলাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। কেউ আমাকে জিজ্ঞেসও করেনি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।