নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক মুন্নাকে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক (সাইনিং পাওয়ার) মনোনীত করায় আনন্দিত গজারিয়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, গত ৪ জুন কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন স্বাক্ষরিত জেলা যুবদলের ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক (সাইনিং পাওয়ারসহ) হিসেবে মনোনীত হন মোজাম্মেল হক মুন্না। ইতিপূর্বে তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দুইবার সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে একটা আস্থা ও ভরসার জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ১১টি মামলার আসামী ও একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। পরীক্ষিত জিয়ার সৈনিক মোজাম্মেল হক মুন্না জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত হওয়ায় গজারিয়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দিত। গত কয়েকদিনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, অসংখ্য নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা পোস্ট।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সফিক বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। মোজাম্মেল হক মুন্না একজন নিবেদিতপ্রাণ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। তিনি জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত হওয়ায় গজারিয়ায় বিএনপির রাজনীতি আরও বেশি গতিশীল হবে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান রতন বলেন, মুন্না একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তৃণমূলে তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। আমরা আশা করছি, গজারিয়া তথা মুন্সীগঞ্জে দল আরো বেশি সুসংগঠিত হবে।
উল্লেখ্য, মোজাম্মেল হক মুন্না উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের ছোট রায়পাড়া গ্রামের হাজী মোঃ সানাউল্লাহর ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত মেধাবী ও বিনয়ী। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। সেইসাথে তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে ক্রমশ তার অবস্থান শক্তিশালী হয়ে উঠছে।