নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সমাজভিত্তিক একটি কার্যক্রম। টেকসই উন্নয়ন তথা উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও সময়োপযোগী ও গতিশীল করতে হবে। নিরক্ষর ও শিক্ষাহীন মানুষদেরকে এই শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনতে সর্বাত্মক কর্মোদ্যোগ চালিয়ে যেতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খান মো. নাজমুল সোয়েব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহানা তাহমিনা প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা শিক্ষার একটি ধরন। মূলত উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের আলোকে এই ধারার উৎপত্তি। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশু, কিশোর ও বয়ষ্কদের জন্য বিকল্প শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করাই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা শুধু বিদ্যালয়ের পাঠবঞ্চিতদের জন্য নয়, যারা দারিদ্র্য ও অন্যান্য কারণে বিদ্যালয় থেকে ‘ঝরে’ পড়ে বা বিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হয় তাদের জন্যও উন্মুক্ত।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আধুনিক বাংলাদেশ তথা উন্নত সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিক্ষাকে প্রধান ভিত্তিমূল হিসেবে প্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী গৃহীত হওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু তার ‘দ্বিতীয় বিপ্লবের’ ব্যাখ্যায় বলেছিলেন, “সোনার বাংলা’ গড়তে হলে আমার ‘সোনার মানুষ’ চাই। নিরক্ষরতার অভিশাপ দূর করে প্রতিটি মানুষকে শিক্ষিত করতে না পারলে, সোনার মানুষ গড়া যাবে না।”
তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার এলক্ষ্যে কর্মমুখী, উৎপাদনমুখী এবং কারিগরি শিক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে শিক্ষার মান ও হার বৃদ্ধিতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা হলো পিছিয়ে পড়া জনগণকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার একটি বিকল্প প্ল্যাটফর্ম বলা চলে।
তিনি বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা একটি উন্মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সমাজভিত্তিক একটি কার্যক্রম। টেকসই উন্নয়ন তথা উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে আরও গতিশীল করতে হবে। দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এবং সার্বিক কল্যাণে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাংগঠনিক ভিতকে আরও মজবুত করতে হবে। নিরক্ষর ও শিক্ষাহীন মানুষদেরকে এই শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনতে সর্বাত্মক কর্মোদ্যোগ চালিয়ে যেতে হবে।