নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, তরুণ প্রজন্মকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুমহান আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধু তারুণ্যের চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করলেই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
গতকাল শনিবার জাতীয় শোক দিবসের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ১৫টি স্থানে গণভোজ, খাবার বিতরণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বজ্রযোগিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সিরাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রবিন মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মাওলা তপন, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক মোর্শেদা আক্তার লিপি, জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আবুল কাশেম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম পলাশ প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, জাতির পিতার জীবনবোধ, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং রাজনৈতিক দর্শন ও সংগ্রামমুখর কর্মময় জীবন-ইতিহাস আমাদের জাতিগত আত্মমর্যাদার স্মারক এবং সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির দিকদর্শন। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং সমৃদ্ধ-আগামী বিনির্মাণের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। অনাগত প্রজন্মের জন্য প্রস্তুত করে যেতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। যেই বাংলাদেশের প্রত্যয় ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতো তিনিও হয়ে উঠেছেন বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষা, আস্থা ও বিশ^াসের নির্ভরযোগ্য ঠিকানা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সাড়ে সাত কোটি মানুষের আস্থা-বিশ^াস ও ভরসার প্রতীকে পরিণত হয়েছেনÑ হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা; স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৪’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬-দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, অসহযোগ আন্দোলন, এবং ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শুরু হয় নতুন সংগ্রাম। রক্তস্নাত ধ্বংসস্তূপের মধ্যে শূন্য হাতে শুরু ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ কালপর্বে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতির জন্য একটি সংবিধান উপহার দেন তিনি। বাঙালির ইতিহাসের মহানায়নক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়েছেন এবং স্বাধীনতা উত্তর সময়ে মাত্র ৩ বছরের রাষ্ট্র পরিচালনাকালীন সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির শক্তিশালী ভীত রচনা করে দিয়েছেন।