নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের ইশতেহার অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
গতকাল ২৮ মার্চ সোমবার হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার বাংলা একাডেমী আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শ্রী সুব্রত পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন শ্রী মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, শ্রী অসীত সরকার সজল, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী জে এল ভৌমিক প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান সবাই রক্ত দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ইশতেহার ছিল- বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশ সবার দেশ। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।
তিনি বলেন, আমরা উদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও সমমর্যাদা রয়েছে। শ্রেণি-বর্ণ, ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা সকলের সমান অধিকার। সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীগণ পাশাপাশি বসবাস করছে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে হবে। সমাজে সৌহার্দ্য, সাম্য, শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় আত্ম-সংযম ও আত্মত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। উগ্র-সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উন্নয়ন-অগ্রগতি শান্তি-মানবতা ও মুক্তির পথে প্রধান অন্তরায়। তাই উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। ধর্মীয় বিভাজন ভুলে মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘রাজনীতিতে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান বলে কিছু নেই। আমার কাছে সবাই মানুষ।’ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেভাবেই মানুষকে দেখতেন।
ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের ইশতেহার অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে – অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট