নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় নিখোঁজের ৫০ দিন পর মুন্সীগঞ্জে খালার বাসার সেপটিক ট্যাংকে মিললো রফিকুল ইসলাম রনির (৪৮) অর্ধগলিত লাশ। গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের রামপাল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের একটি ইউনিট। রনি ফতুল্লা এলাকার মৃত কাজী জহির উদ্দিনের ছেলে। সে দীর্ঘদিন শেয়ার ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। নিহতের মামা আতিকুর রহমান জানান, গত ৩ নভেম্বর রাতে রনি বাসায় না ফেরায় আত্মীয়স্বজনের বাসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে গত ৬ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপরে পুলিশ বিভিন্ন তথ্যের সূত্র ধরে রনির খালা সুলতানা রাজিয়া রুমাকে (৪৮) জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে রুমা স্বীকার করে তার বাবার বাড়ি মুন্সীগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে তার লাশ রয়েছে। রুমার স্বামী দীর্ঘ বছর বিদেশে থাকার পর সম্প্রতি দেশে আসেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত রনির সাথে রুমার ২৫ বছর যাবৎ অনৈতিক সর্ম্পক ছিল। সে বিভিন্ন সময় মুন্সীগঞ্জের বাসায় এসে রুমা ও কাজের মেয়ে আম্বিয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত। ঘটনার দিন রনি মুন্সীগঞ্জ আসে। পরে রাতের বেলা এক প্রতিবেশী পাশের বাড়ির রুমার সাথে দেখা করতে আসে। এসময় রনি ভয় পেয়ে লেপ-তোষক রাখার বড় বাক্সে লুকিয়ে পড়ে। পরে প্রতিবেশী রুমার সাথে দেড়ঘন্টা আলাপচারিতা করে। একপর্যায়ে রনি দম বন্ধ হয়ে বাক্সের ভেতর মারা যায় বলে জানায় রুমা। পরে রাত তিনটার দিকে রুমা ও কাজের মেয়ে আম্বিয়া তার লাশ রেক্সিন দিয়ে পেঁচিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেয়।