নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়ন, বেজগাঁও ইউনিয়ন, লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদী তীরবর্তী নদী রক্ষা বাঁধের কাজে অগ্রগতি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি লৌহজংয়ে অবস্থান করেন। এসময় মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলিসহ লৌহজং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান জানান, বর্ষার মৌসুমের আগেই নদী রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হবে। জিও ব্যাগ ফেলে ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দুই উপজেলায় মোট ৯.১ কিলোমিটার কাজ। পরে আরো ৪.৬ কিলোমিটার কাজ যোগ করা হয়েছে। ব্লক পাথর তৈরি হচ্ছে। আশা করি, আমরা অতি দ্রুত কাজ শেষ করতে পারবো। কাজে কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই। ৯.১ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধে প্রথমে জিও ব্যাগ পরে স্থায়ীভাবে ব্লক পাথর দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হবে।
মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আমাদের এলাকার মানুষ উন্নয়নমূলক কাজ পায়। এই যে নদী রক্ষা বাঁধের কাজ প্রধানমন্ত্রী নিজে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের লৌহজংয়ে মানুষকে নদী থেকে রক্ষার জন্য এই কাজটি দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। তার জন্য দোয়া করবেন। অন্য দল ক্ষমতায় থাকলে কোন কাজ পাওয়া যায় না। আজ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এখানে কাজ পরিদর্শন করতে এসেছেন। আমরা যখন তাকে ডাকি, তিনি সাড়া দেন। তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এবং তার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
সচিবের নদী রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সচিবের একান্ত সহকারী সচিব মো. শাজাহান আলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল আউয়াল, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল রশিদ শিকদার, বেজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক ইকবাল মৃধা, লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।