পারাপারের অপেক্ষায় হাজারো যানবাহন, ভোগান্তিতে দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার যাত্রীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও পলি জমে পদ্মায় প্রচন্ড স্রোত ও নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকেই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ নৌ-রুটের শিমুলিয়া ঘাটে আটকা পড়েছে প্রায় দুইহাজার যানবাহন। এসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ রয়েছে পচনশীল পণ্যের ট্রাক। ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই এখন থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ফেরী বন্ধ থাকায় ঘাটে এসে যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, গেলো দু-রাত থেকে এ নৌ-রুটে দূর্ঘটনা এড়াতে রাতের বেলায় ফেরী চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে দিনের বেলায় বেশ কিছু ফেরী চলাচল করলেও গতকাল শুক্রবার সকালে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রোরো ফেরী শাহ-মখদুম ও কেটাইপ ফেরী ক্যামেলিয়া যানবাহনসহ কাঠালবাড়ীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ফেরী দুটো স্রোতের কারণে চাঁদপুরের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ফেরী দুটি ঘাটে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এদিকে এ নৌ-রুটের রোরো, কেটাইপ, ডাম্প ফেরী, মাঝারী ও ছোটসহ ১৩টি ফেরী নিয়মিতভাবে চলাচল করলেও শুক্রবার সকাল থেকেই সবগুলো ফেরীই বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এ রুটে যাত্রীদের চলাচলের জন্য ৮৭টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পীডবোট চলাচল করছে। ফেরী বন্ধ থাকায় এ নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। আবার কেউ মোটর বাইক নিয়ে প্রচন্ড স্রোত ও উত্তাল পদ্মা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের টিআই হিলাল উদ্দিন জানান, পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন ঘাট এলাকা ছাড়িয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কুমারভোগ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে। তবে ঘাটে আটকে পড়া যাত্রী ও যানবাহন চালকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি উপ-সহকারি ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত হোসেন জানান, নদীতে প্রবল কারেন্ট থাকায় ফেরী চলাচল গত কয়েকদিন যাবৎ ব্যহত হচ্ছে। ২ দিন ধরে স্রোতের চাপ আরো বেড়ে যাওয়ায় ফেরীগুলো চ্যানেলের মুখে প্রবেশ করতে পারছে না। গতকাল শুক্রবার সকালে একটি ফেরী স্রোতের চাপে কয়েক কি. মি. দূরে চলে গেছে। ট্যাগ জাহাজ দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আরো একটি ফেরী ফিরে এসেছে। চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি ও টিএ ঊর্ধ্বতন মিটিংয়ে বসেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে ফেরী ছাড়া সম্ভব নয়।