নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সীমানা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মারধর ও গাছ কেটে থানায় অভিযোগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে হোগলাকান্দি গ্রামে শাহআলম মিয়া গংদের বিরুদ্ধে। গেল বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে শাহআলম মিয়ার বাড়ির পাশে এসব গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসী বলছে, ওইদিন সকালে শাহআলম মিয়ার লোকজন পাশর্^বর্তী বাউশিয়া গ্রামের কাঠুরিয়া প্রদীপকে দিয়ে ৩ থেকে ৪টি গাছ কেটে তারা তাদের চাচতো ভাই মিজানুর রহমানকে ফাঁসানোর জন্য থানায় মারধর ও গাছ কাটার অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, শাহআলম মিয়া গংদের সাথে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। এ নিয়ে প্রায় সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসছে তারা। এ বিষয়ে গত ২০ জুন স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রামের পঞ্চায়েত সালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের বাড়ির সীমানা নির্ধারণ করে মীমাংসা করে দেন এবং পঞ্চায়েত সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত দেন যে উভয়পক্ষ শান্তির লক্ষ্যে সীমানার মধ্যে যে গাছগুলো আছে সেগুলো কর্তন করে দেওয়ার জন্য। এরই পরিপেক্ষিতে গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে শাহআলম মিয়া বাউশিয়া দাশকান্দি এলাকা থেকে কাঠুরিয়া প্রদীপের মাধ্যমে ৩ থেকে ৪টি গাছ কর্তন করে। পরে সেদিন আমাদের পারিবারিক রাস্তায় ট্রলি গাড়ি দিয়ে বালু ফেলাতে গেলে বাঁধা প্রদান করে শাহআলম গংরা এবং তারা অকথ্য ভাষার গালিগালাজ করে আমার বাড়ির প্রায় ৯টি সীমানা নির্ধারণের সিমেন্টের পিলার ভেঙে ফেলে দেয়। তিনি আরো বলেন, তারা তাদের গাছ নিজেরাই কেটে এবং নিজের হাত নিজে কেটে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম মিয়া বলেন, তার আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বাড়ির গাছগুলো মিজানুর রহমান গংরা জোরপূর্বকভাবে কর্তন করে। আমি বাঁধা দিলে তারা আমার হাতে ধারালো দা দিয়ে কোপ দেয়।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার এসআই সেকান্দর হোসেন জানান, উভয়পক্ষ গজারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।