নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডের পাশ ঘেঁষে দীর্ঘদিন ধরে আঁধারে ফেলা হচ্ছে চিকিৎসা বর্জ্য। এসব বর্জ্যরে দুর্গন্ধে এ সড়ক দিয়ে নাকে রুমাল চেপে যাতায়াত করতে হয়। ফলে সুস্থ মানুষও অসুস্থের পথে বলে জানান পথচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডের পাশে সড়কে ক্লিনিকের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, স্পঞ্জ, ড্রেনেজ টিউব, রক্ত সঞ্চালনের ব্যাগ টিউব, রক্ত দ্বারা সংক্রমিত স্যালাইন সেট, জমাট বাঁধা রক্ত, কাপড়-চোপড় ময়লার ভাগাড়ে। সেখান থেকে কুকুর-বিড়াল ওইসব বর্জ্য নিয়ে যাচ্ছে খোলা জায়গায়। এছাড়া ওইসব বর্জ্যরে দুর্গন্ধে পথচারীরা নাকে রুমাল চেপে যাতায়াত করছে।
ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারী সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে তিনি যাতায়াত করেন। বর্জ্যরে দুর্গন্ধের কারণে নাকে রুমাল চেপে চলাচল করতে হয়। সাধারণ মানুষের এমন দুর্ভোগেও সংশ্লিষ্টদের টনক নড়ে না।
আরেক পথচারী হেলাল মিয়া জানান, বর্জ্যরে স্তুপ থেকে যে দুর্গন্ধ বের হয় তাতে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হওয়ার উপক্রম। সড়কে প্রতিনিয়ত এসব বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ করে আসছে ক্লিনিক ব্যবসায়ীরা।
গজারিয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, রাতের আঁধারে বিভিন্ন ক্লিনিকের বর্জ্য গাড়িতে করে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডের পাশে ফেলে রেখে যায়। একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তারা বর্জ্য ফেলা বন্ধ করেনি। বর্জ্যরে গন্ধ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পরিবেশ রক্ষা কমিটির গজারিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুম সরকার বলেন, গজারিয়ায় অধিকাংশ ক্লিনিক, ডায়গনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে হাসপাতালগুলোর বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে এখানকার পরিবেশ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুবাশশিরা বিনতে আলম জানান, ক্লিনিক মালিকদের একাধিকবার বলা হয়েছে বর্জ্য খোলা জায়গায় না ফেলার জন্য। কারা বর্জ্য ফেলছে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দূষিত পরিবেশ থেকে গজারিয়াকে রক্ষা করা হবে।