নিজস্ব প্রতিবেদক
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রের কিছুটা হলেও বিকাশ হয়েছে। এটা একটা ধীরগতির প্রক্রিয়া, রাতারাতি বিকাশ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। রবিবার দুপুরে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পুনর্বাসন সাইটসমূহে বরাদ্দকৃত প্লটের লিজ দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচন চান। তাই কোনও বিশৃঙ্খলা না করে সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আদালতের আদেশে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ২০১১ সালেই বিদায় নিয়েছে। এটা মীমাংসিত বিষয়। উচ্চ আদালতই তত্ত¡াবধায়ক সরকারকে জাদুঘরে পাঠিয়েছে। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চান। কিন্তু, আপনাদের নেত্রী একসময় বলেছিলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নেই। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার সোনালী ফসল পদ্মা সেতু। সেতু নির্মাণের আগে ছিল পদ্মার ভাঙনের তান্ডব। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রমাণ করবো বাঙালি চুরি করে না, বাঙালি বীরের জাতি’। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সাতটি পুনর্বাসন সাইটে মোট তিন হাজার ১১টি আবাসিক প্লটের মধ্যে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৯৬৩টি বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে ভূমিহীনদের ৮১৪টি প্লট বিনামূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট ১০০টি বাণিজ্যিক প্লটের মধ্যে এ পর্যন্ত ৮১টি বরাদ্দ হয়েছে। ১২০টি বাণিজ্যিক স্পেসের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭২টি প্লট বরাদ্দ হয়েছে। সেতুমন্ত্রী আরো জানান, নভেম্বর থেকে পদ্মা সেতুতে কার্পেটিং শুরু করা হবে। আর আগামী জুনের মধ্যে সেতুর কাজ শেষে উদ্বোধন করা হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর কাজ ৯৫ শতাংশ, নদী শাসনের ৮৫ শতাংশ ও মূল প্রকল্পের কাজ ৮৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই পদ্মা সেতু আর স্বপ্ন নয়, এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। সেতু বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এস এম জাহিদ হোসেন ও পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।