নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবন ও রাজনীতির কেন্দ্র ছিল জনগণ। মানুষের মুক্তিই ছিল তার জীবনের একমাত্র ব্রত।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ২১ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। সভায় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন কল্লোল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান রিপন, মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহাসীনা হক কল্পনা, কাউন্সিলর মকবুল হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আবুল কাশেম প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের কেন্দ্র ছিল জনগণ। জনগণের জন্য ভালোবাসা ছিল তার সব কর্মকান্ডের প্রেরণা, জনগণের ওপর বিশ্বাস ছিল তার কর্মকান্ডের ভিত্তি এবং জনগণের কল্যাণই ছিল তার সকল কর্মকান্ডের লক্ষ্য। নির্যাতিত-নিপীড়িত, লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-শোষিত মানুষের মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের একমাত্র ব্রত। একজন নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ছিল অতুলনীয় দেশপ্রেম এবং জনগণের প্রতি অপরিমেয় ভালোবাসা। একজন মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অসীম সাহসী, বিশাল হৃদয়ের এবং উদার দৃষ্টিভঙ্গীর সহজ সরল মানুষ। নীতি ও আদর্শে তিনি ছিলেন দৃঢ় প্রতীজ্ঞ।
তিনি বলেন, আজকের দিনে আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকার হোক বঙ্গবন্ধু যে বাঙালি জাতির কল্যাণে নিজেকে বিসর্জন দিয়েছেন সেই জাতি ও রাষ্ট্রের সমৃদ্ধির অর্জনে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ একটি আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করা। সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশ বিরোধী, উন্নয়নবিরোধী পরাজিত ঘাতকদের পরাভূত করা।
তিনি আরও বলেন, বাংলায় কত না বিদ্রোহ, কত বিপ্লব, কত যুদ্ধ, কত সংগ্রাম শতাব্দীর পর শতাব্দী পার হয়েছে। ঈশা খাঁ প্রমুখ বারো ভূইয়াদের যে স্বাধীনতা স্থায়ী হতে পারেনি নিকট শতাব্দীগুলোতে নুরলদীনের মুক্তির সংগ্রাম, নীলবিদ্রোহ, তিতুমীরের বিপ্লব, নানকার কৃষক বিদ্রোহ, সূর্যসেনের যুদ্ধ, কত না সংগ্রাম যে বাঙালিকে বিজয় দিতে পারেনি, একাত্তরে বাঙালিকে সেই বিজয় এনে দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের মতো বিশাল ভূখন্ডে, তখনকার সাড়ে সাত কোটি মানুষের মতো বিপুল সংখ্যক মানুষকে তিনি একটিমাত্র রণ হুংকার দিয়ে বাঙলায় গ্রথিত করতে পেরেছিলেন। বাংলার ইতিহাসে এত বড় মাপের সংগ্রামে কখনই অবতীর্ণ হয়নি বাঙালী এবং সেই সংগ্রামে জয়ীও এর আগে কখনোই হতে পারেনি। তাই বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের মহানায়ক।