নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনীতে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশীর হামলায় সৌদি আরব ফেরত প্রবাসী বৃদ্ধ ফজলুর রহমান বেপারী হত্যার ঘটনায় দায়ীদের খুঁজছে পুলিশ। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। গত ২ মে হত্যাকান্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় পরদিনই নিহত ফজলুর রহমানের স্ত্রী সাহিদা বেগম বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় রাসেল বেপারীকে (৪০)। এছাড়াও আসামী করা হয় লিমন বেপারী (২০), রেখা বেগম (৪৫)সহ অজ্ঞাত আরো ২ থেকে ৩ জনকে। এ ঘটনায় ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আসামীদের ধরতে পারেনি।
নিহতের স্ত্রী সাহিদা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। তাদের গ্রেফতার করা হোক। আমরা আতঙ্কে আছি। আমাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদরে বৈদ্যুতিক তার টানা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করে মেরে ফেলে সৌদি আরব ফেরত প্রবাসী বৃদ্ধ ফজলুর রহমান বেপারী (৭০)কে। তিনি সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের কল্যাণশিং গ্রামের আব্দুল জলিল শেখের পুত্র। এ ঘটনায় মৃতের বড় মেয়ের জামাই শ্যামল শেখ (৩৮) গুরুতর আহত হয়। তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন হাসপাতালে। গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের কল্যাণশিং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঐ দিন বিকাল ৪টার দিকে বৃদ্ধ ফজলুর রহমানকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক শৈবাল বসাক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী শাহিদা বেগম অভিযোগ করে জানান, আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে প্রতিবেশী বাশার বেপারীর পুত্র রাসেল (৪২) ও রহিম বেপারীর পুত্র লিমন (১৭) বৈদ্যুতিক তার টানতে চেয়েছিলো। এতে বাঁধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করলে সে আহত হয়ে পড়ে যায়। আমরা ধরাধরি করে তাকে হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় আমার মেয়ে জামাইকে সুইচগিয়ার দিয়ে ডান হাতে জখম করে অভিযুক্তরা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জানান, বৃদ্ধ ফজলুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় জড়িতরা সবাই পলাতক। পুলিশের অভিযান চলছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই আসামীরা গ্রেফতার হবে।