নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, ২০০৭ সালের ৭ মে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্র উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এক অবিস্মরণীয় দিন।
গতকাল রবিবার ‘২০০৭ সালের ৭ মে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মাওলা তপন, পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন, পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাহিদা হাসান, কাউন্সিলর নার্গিস আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান শরীফ, মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সভাপতি মনিরুজ্জামান রিপন, শ্রমিক নেতা আবুল কাশেম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য তাইজুল ইসলাম সৌরভ, আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল দেওয়ান প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ২০০৭ সালের ৭ মে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থা চলাকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক অবৈধ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু সাহসিকা জননেত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন সরকারের বেআইনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিশ^ব্যাপী। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক দৃঢ়তা, সাহস ও গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর চাপে তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হন। ৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঢাকায় ফিরে এলে লাখো জনতা তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানায়। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মিছিল শোভাযাত্রা সহকারে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, দেশে ফিরে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শুরু করেন নবতর সংগ্রাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হয় দেশবাসী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে সাজানো মামলায় গ্রেফতার করে। ২০০৮ সালের ১১ জুন প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে কারান্তরীণ রাখা হয়। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন এবং চিকিৎসা শেষে ৪ ডিসেম্বর স্বদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। অতঃপর গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। আন্দোলনের মুখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসা তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের ইতিহাসে ৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ৭ মে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্র উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এক অবিস্মরণীয় দিন।