নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথমবারের মত পেল জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন। গতকাল রবিবার প্রথমবারের মত জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন এসে পৌঁছালো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
জানা যায়, জেলার মধ্যে একমাত্র জেলা সদর হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের টিকা পাওয়া যেত। কিন্তু গত কিছুদিন যাবৎ উপজেলাব্যাপী পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়া ও অর্ধশত মানুষ কুকুরের কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় উপজেলাব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আপাতত জলাতঙ্কের টিকা প্রদান করা যাচ্ছে না বলে জানিয়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে বিপদে পড়েছে স্থানীয় দরিদ্র মানুষ। তারা হাসপাতাল থেকে ফিরে শরণাপন্ন হচ্ছেন গ্রামের কবিরাজ বা ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি থেকে এই টিকা বাজারজাত করা হলেও দাম অনেক বেশি। নোভার্টিসের এই টিকার এক ডোজের দাম ৬৪০ টাকা। ইনসেপ্টা কোম্পানির এক ডোজের দাম ৫০০ টাকা। অন্যান্য কোম্পানিও একই দামে ওষুধ বাজারজাত করছে। কাউকে কুকুর বা জলাতঙ্ক-আক্রান্ত অন্য কোনো প্রাণী কামড়ালে তাকে এই টিকার মোট পাঁচ ডোজ দিতে হয়। সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে এই টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে ছিল না কোন সরবরাহ। ফলে যাদের এত টাকা খরচ করে টিকা নেওয়ার সামর্থ্য নেই তারা ছিল আতঙ্কে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত দু’মাসে শুধু কুকুরের কামড়ের জন্যই চিকিৎসা নিতে এসেছে ৪০ জন। জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন না থাকায় তাদের পাঠাতে হয়েছে ঢাকা অথবা মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের লেখালেখি করার কারণে এই প্রথমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পেল জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন।
জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন পেয়ে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবাশশিরা বিনতে আলম স্থানীয় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রথমবারের মত উপজেলা পর্যায়ে ৫০ ডোজ জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন পাওয়ায় ভাল লাগছে। এখন থেকে আমরাও উপজেলাবাসীকে এই সেবা প্রদান করতে পারবো।