নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এক বিবৃতিতেÑ মুন্সীগঞ্জবাসীসহ দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে মৃণাল কান্তি দাস বলেন, পহেলা বৈশাখ ‘বাংলা নববর্ষ’। বাঙালি জীবনের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি শুভদিন। বাঙালির নববর্ষ। বাঙালির প্রাণের উৎসব। একান্তই বাঙালির স্বকীয় উৎসব। বাঙালির আত্মপরিচয়ের মূল ভিত্তি ‘সাংস্কৃতিক বন্ধন’-এর সার্বজনীন একটি উৎসব। পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় পরিচয়ের দ্যোতক তেমনি বিশ্বের সকল ভাষাভাষী বাঙালির জাতিসত্ত্বাগত, সাংস্কৃতিক এবং অভিন্ন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বাহক। এই দিনটি বিশ্বের সকল বাঙালিকে তার জাতিসত্ত্বা ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দেয়। নববর্ষের এই শুভলগ্নে সকলকে জানাচ্ছি শুভ নববর্ষ-১৪২৮।
তিনি বলেন, এবার বাংলা নববর্ষ এমন একটি সময়ে আমাদের দোড়গোড়ায় সমাগত যখন প্রিয় মাতৃভূমি প্রাণঘাতি মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটময় মুহূর্ত অতিবাহিত করছে। আমাদের নতুন বছরের এই শুভ আগমন ক্ষণে আমাদের সকলের সম্মিলিত অঙ্গীকার হোক করোনা ভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় শতভাগ সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা এবং শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, নববর্ষ আমাদের জীবনে বয়ে আনুক শান্তি, সুখ, আনন্দ ও অবারিত কল্যাণ। পুরনো দিনের শোক-তাপ-বেদনা অপ্রাপ্তি-আক্ষেপ ভুলে অপার সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে জেগে উঠুক বিশ^-চরাচর। দুই হাতে অন্ধকার ঠেলে, সকল ভয়কে জয় করার মানসে নতুন করে জাগ্রত হোক সকল মানবিক শক্তি। আজকের প্রার্থনা- মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা…। আঁধার টুঁটে উঠুক ফুটে মুক্ত প্রভাকর।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ পুরনো দিনের শোক-তাপ-বেদনা-অপ্রাপ্তি-আক্ষেপ ভুলে অপার সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করার দিন। এদিন অন্ধকার ঠেলে, সকল ভয়কে জয় করার মানসে নতুন করে জেগে উঠে বাঙালি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ একাত্ম হয়ে গেয়ে উঠুক মানবমুক্তির জয়গানÑ গেয়ে উঠুক এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ…। নিরন্তন আনন্দে উৎসবে ভরে উঠুক সবার জীবন।
তিনি বলেন, আজ নববর্ষের অঙ্গীকার হোক হিংসা-বিদ্বেষসহ ভেদাভেদ ভুলে দেশের উন্নয়নে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। টেকসই উন্নয়ন শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির প্রধান বাাঁধা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক-সন্ত্রাসসহ সকল অপশক্তির বিনাশ হোক। পুরনো দিনের শোক-অপ্রাপ্তি-আক্ষেপ ভুলে অপার সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। অন্ধকার ঠেলে, সব ভয় জয় করার মানসে নবতর উদ্যমে জেগে উঠুক তরুণ সমাজ।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ অসাম্প্রদায়িক চেতনার উৎসব। সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ থেকে ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্যবোধে উদ্দীপ্ত হওয়ার দিন পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখে বাঙালির চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যকে আরও শাণিত করে সমাজের সর্বস্তরে বিকশিত হয়ে ওঠুক। বাঙালি জাতির পারস্পরিক সহমর্মিতা, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির চিরকালীন ঐতিহ্যকে যেন কেউ নস্যাৎ করতে না পারে।