নিজস্ব প্রতিবেদক
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ১০টি হিমাগারের মালিকপক্ষ ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে জরুরী সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র, থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম বাবুল, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন, কেয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আশ্রাফ আলী, রশুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ, বয়রাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ, কোলা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু, ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান সুমন মিয়া, শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার টুটুল, জৈনসার ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদুসহ ১০টি হিমাগারের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার নির্ধারিত আলু প্রতি কেজি কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে ২৬-২৭ টাকা এবং খুচরা সর্বোচ্চ ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি পাইকারি ৫৩-৫৪ টাকা খুচরা সর্বোচ্চ ৬৪-৬৫ টাকা ও ডিম প্রতি পিস উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫০ পয়সা, খুচরা সর্বোচ্চ ১২ টাকা দর নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর চেয়ে বেশিতে কোনমতেই বিক্রি করা যাবে না। অবশ্যই পাকা রশিদের মাধ্যমে এসব পণ্য কিনে এনে বিক্রি করতে হবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে। সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ১০টি হিমাগারে সরকারি আদেশ সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙাতে হবে সে বিষয়ে সবাইকে বলা হয়েছে। এছাড়া এ উপজেলার ১০টি হিমাগার এবং বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অন্যথায় সরকারের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।