নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দশটি ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সরকারি দামে আলু বিক্রির নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে মাইকিং করা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতার মধ্যে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
লৌহজং হাট-বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি করা হতো। বিভিন্ন হাট-বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে তারা বিক্রি করছে। সরকারি মূল্যে আলু ক্রয় করাটা অনেকটা অস্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। তবে সরকারের নির্দেশনা মান্য করতে মাইকিংয়ে ব্যবসায়ীরা অনেকটা সচেতন হবে। যদি এরপরও কোন ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রির চেষ্টা করে তবে সেই ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির দায়ে প্রশাসনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
মোঃ সেন্টু শেখ নামে একজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েকদিন আগেও তিনি ৫৫/৫৭ টাকা করে আলু কিনেছেন। সরকার নির্ধারিত মূল্য নানা অজুহতে অনেকে মানছিলেন না। মাইকিং করায় সাধারণ ক্রেতারা সচেতন হবে। প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
গৃহিণী মাহমুদা আক্তার বলেন, মাছ, মাংসসহ বিভিন্ন প্রকার খাদ্যে প্রতিদিনই আলুর ব্যবহার আছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে অতিরিক্ত মূল্যে আলু কিনতে হচ্ছে। মাইকিংয়ের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি সরকারের নির্দিষ্ট মূল্য ৩৭ টাকা। এরপরে কোন বিক্রেতা অতিরিক্ত মূল্য দাবি করলে প্রশাসনকে ফোন দিব।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস শিকদার জানান, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিকে আমরা সরকারি নির্দেশনা মানতে চিঠি দিয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি, তারা মাইকিং করে ইউনিয়নবাসীকে জানিয়েছেন। এরপরও যদি কেউ অতিরিক্ত মুনাফার আশায় বেশি দামে আলু বিক্রি করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি আশা করি, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন হবে।
লৌহজংয়ে সরকারি দামে আলু বিক্রির নির্দেশ দিয়ে মাইকিং
আগের পোস্ট