নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কথিত এক কাজী মো. মাহাবুব এলাকায় অবৈধভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে ও স্কুল শিক্ষার্থীদের বিয়ে করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে বলে অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী অভিভাবক ফাইজুল ইসলাম শিপলু। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ও সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কথিত ঐ কাজীর কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিপলু তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, মিরকাদিম পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মো. মাহবুব নানা কৌশলে অপ্রাপ্তবয়সী ছেলেমেয়েদের কাবিন ও বিয়ে পড়াচ্ছেন কাজী অফিসে নিয়ে। কাজী সফিকুর রহমান ইমামের ছেলে মো. মাহবুব নিজেকে কখনো কখনো কাজী পরিচয় দিয়ে কাবিনের কাজটি করছেন নানা কৌশলে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন রিকাবীবাজারের পূর্বপাড়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে একই গ্রামের উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত রোমেলের বিয়ের কাবিনের কাজটি করান ঐ কথিত কাজী। ছেলেমেয়ের জাল জন্মনিবন্ধন কাগজ তৈরি করে মাহবুব তার কাজী অফিসে এ ধরনের কর্মকান্ড করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের বাবা শিপলু কথিত কাজী মাহবুব এর সাথে যোগাযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী শিপলু আরো বলেন, এই মাহবুব এলাকায় এ ধরনের ঘটনা আরো ঘটিয়েছেন।
এ বিষয়ে মাহবুব বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমার সাথে ঘটেনি। আমি কাজী না, আমার বাবা সফিকুর রহমান কাজী। আমার বাবা যদি কোন কাবিনের কাজ করে থাকেন তাহলে নিয়ম মেনেই করেন। আর বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ডুপ্লিকেট জন্মনিবন্ধন কাগজ তৈরি করে কাবিন বা বিয়ে পড়ানোর কাজটি অসম্ভব। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।
এদিকে মাহবুবের এ ধরনের কর্মকান্ডকে প্রতিহত করতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিপলু।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শিলু রায় বলেন, কাজীর সনদ ছাড়া যদি কেউ কাবিনের কাজটি করে থাকেন, আর বিয়ে পড়ানোর ব্যাপারে উৎসাহ দেন আর এ ধরনের লিখিত অভিযোগ যদি কেউ দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।