নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ শহরের মাঠপাড়া এলাকায় জাতীয় পার্টির পরিচিতি সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে জেলা জাপার নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকউল্লাহ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এএফএম আরিফুজ্জামান দিদারের নেতাকর্মীদের মাঝে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় টঙ্গীবাড়ী উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন খান (৫৬) আহত হয়েছে। তাকে আহত অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, গত ১৮ জুন জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন সম্পন্ন হয়। ২ মাস পর গত ১৭ আগস্ট জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্বাক্ষরে জয়নাল আবেদীনকে সভাপতি ও রফিকউল্লাহ সেলিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১১ সদস্যের জেলা জাপার কমিটি ঘোষণা করা হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদ্যঘোষিত ওই কমিটির পরিচিতি সভা করে শহরের মাঠপাড়া এলাকার জেলা জাপার নতুন কার্যালয়ে।
এদিকে, জেলা জাপার সম্মেলনে রফিকউল্লাহ সেলিম ছাড়াও শহর জাপার সভাপতি ও জেলা জাপার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এএফএম আরিফুজ্জামান দিদার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। পদ বঞ্চিত হয়েও দিদার ও তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা পরিচিতি সভায় গেলে নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকউল্লাহ সেলিমের সমর্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় জাপার কার্যালয়ের ভেতর চেয়ার ও জানালার কাঁচ ভাংচুর করা হয়।
পদ বঞ্চিত এএফএম আরিফুজ্জামান দিদার বলেন, আমি ছাড়াও জেলা জাপার সাবেক সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সেলিম ও শ্রম কল্যাণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামসহ অংসখ্য নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে জেলা জাপার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নতুন ঘোষিত কমিটি মানি না। পরিচিতি সভায় আমরা তারই প্রতিবাদ করেছি। একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়েছে। একজন আহতও হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি সবসময়ই ত্যাগী নেতাকর্মীদের পক্ষে। কাজেই বর্তমান কমিটি বাতিল করা হোক।
নবগঠিত জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক রফিকউল্লাহ সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জেলা জাপার কার্যালয়ে নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা করছিলাম। হঠাৎ করেই পদ বঞ্চিত আরিফুজ্জামান দিদার ও তার লোকজন সেখানে হামলা চালায়। এসময় কার্যালয় ভাংচুর করে তারা।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জাতীয় পার্টির কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। তবে সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।