নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের ঘটনার ধারাবাহিকতা। এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। আর ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের ঘটনা ছিল ১৯৭১ সালের বর্বরোচিত, নৃশংস ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ধারাবাহিকতা।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ’৭১ সালে যারা আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে, বাড়ি-ঘর পুড়িয়েছে, ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করেছে, দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয়। বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহস এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করার কারণে তারা সেদিন সফল হয়নি। কিন্তু তারা থেমে থাকেনি। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট সেই চক্রই জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল সব শেষ। শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা ফিরে আসার পর ওরা বুঝতে পারল শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবেন। সেজন্য অন্তত ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে তারা।
তিনি আরো বলেন, সম্মিলিতভাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস-দর্শন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। নেতা হলেন একজন, সেটা শেখ হাসিনা। আর সবাই আমরা কর্মী। আজকের বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আছেন বিধায় অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার, জেলহত্যার বিচার, বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার, দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সব সম্ভব হচ্ছে।
বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন প্রধান এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শাহজাহান খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সিকান্দার আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন দেওয়ান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খোকন, আব্দুল মতিন মন্টু, উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন মিন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রব মামুন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, মোসলেম মাষ্টার, জহির উদ্দিন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা নাজমুল হোসেন, হাজী শাহপরান, বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ বজলুর রহমান সরকার, দেলোয়ার হোসেন, নুরুল খাঁন, মেহেদী হাসান সবুজ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।