নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছে শাহীন কাজী (৪৯) নামে এক ব্যবসায়ী। ওইসময় প্রতিপক্ষের লোকজন তার চলন্ত সিএনজি গাড়ির গতিরোধ করে হামলা এবং বেধড়ক মারধর করে তাকে আহত করে। গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার হাতিমারা চালতা তলা টাওয়ারের সামনে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার আহত ব্যবসায়ী শাহীন কাজী এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ব্যবসায়ী শাহীন কাজীর সাথে চলচ্চিত্রের নায়ক আলেক জান্ডার বো গংদের জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ নিয়ে মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে নায়ক আলেক জান্ডার বো গংদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী শাহীন কাজীর কয়েকটি মামলা পরিচালিত হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার কাজিরবাগ এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী শাহীন কাজী ও তার খালা মাসুদা বেগম মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে আসেন। পরে তারা আদালত থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে দুপুরের দিকে সিএনজি করে রওয়ানা হন। তাদের সিএনজি সদর উপজেলার হাতিমারা চালতা তলা টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র ৭/৮ জন সিএনজিটির গতিরোধ করে ব্যবসায়ী শাহীন কাজীর উপর হামলা চালায় এবং বেধড়ক মারধর করে আহত করে।
এদিকে প্রতিপক্ষের হামলা ও মারধরের শিকার ব্যবসায়ী শাহীন কাজী বলেন, আমাদের সাথে মুন্সীগঞ্জ আদালতে নায়ক আলেক জান্ডার বো গংদের দেওয়ানী মোকদ্দমা চলছে। আমি আদালতে মামলাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে যাই। পরে দুপুরের দিকে সিএনজি করে বাড়ি ফিরছিলাম। ওইসময় আলেক জান্ডার বো গং আমার উপর হামলা ও মারধর করে। তিনি আরো বলেন, আব্দুল সাত্তার হাওলাদার ও আব্দুল মান্নান হাওলাদার গং তাদের সম্পত্তির মামলাটি আমি পরিচালনা করছি। ওই জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন আমার উপর এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এদিকে এ হামলার অভিযোগের বিষয়ে নায়ক আলেক জান্ডার বো-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শাহীন কাজী একজন বাটপার, টাউট। ও আমাদের জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে একটি জাল দলিল করেছিলো। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দিয়েছিলাম। বর্তমানে শাহীন কাজীসহ ৪ জন জামিনে আছে। আমাকে হেয় করার জন্য ওরা নাটক সাজিয়েছে। তাকে মারধর ও হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আনসার উজ্জামান বলেন, এমন ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।