নিজস্ব প্রতিবেদক
বন্যা কবলিত মুন্সীগঞ্জের লৌহজং-শ্রীনগর ও টঙ্গিবাড়ীর পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে মাওয়ায় বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও ভাগ্যকুলে ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪৫টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। পানিবন্দি এসব গ্রামে বিশুদ্ধ পানি সংকটের পাশাপাশি শুকনো খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে পানিবন্দি মানুষগুলোকে। খোঁজখবর না নেয়া ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে না দেয়া সব নানা অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। এদিকে মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে পানির চাপ কম লক্ষ্য করা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, গত ৪ দিন ধরে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ফলে জেলার লৌহজং-শ্রীনগর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে মেঘনা ধলেশ্বরী নদীতে পানির চাপ কম রয়েছে।