নিজস্ব প্রতিবেদক
বিগত কয়েকদিন যাবত পদ্মা নদীতে পানি বেড়েই চলেছে। গতকাল রবিবার মুন্সীগঞ্জ জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা গত শনিবারের চাইতে ৭ সেন্টিমিটার বেশি। এতে জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। নতুন করে জেলার আরো একটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে বন্যার পানিতে জেলার ৪ উপজেলা টঙ্গীবাড়ী, শ্রীনগর, লৌহজং ও সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ১৫৪টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হলো। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার ৩০ হাজার পরিবার। এদের মধ্যে ৩৬৬টি পরিবার ৫৪টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে অবস্থান করছে। এদিকে ভেসে গেছে জেলার ১৭শ ২টি পুকুরের মাছ। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যা কবলিতদের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দের ২০২ মেট্রিকটন চাল ও ৩ হাজার ১ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জিআর ক্যাশ হিসাবে ৩ লক্ষ, গো খাদ্যের জন্য ৩ লক্ষ ও শিশু খাদ্যের জন্য ১ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পানির স্রোত অব্যাহত থাকলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।