নিজস্ব প্রতিবেদক
বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য কোল্ড স্টোরেজ থেকে ৫৬ হাজার বস্তা আলু ইতোমধ্যে বাজারজাতকরণ করা হয়েছে। এর বাইরে গতকাল বৃহস্পতিবার ১০টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভোক্তা পর্যায়ে সরাসরি আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে এই আলু বিক্রি হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের সকল উপজেলায় ক্রমান্বয়ে ট্রাকের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির মাধ্যমে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরো জানা যায়, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বাজারে আলু বিক্রির বিষয়টি সরকারের নির্ধারিত দামে হচ্ছে কি না এ বিষয়ে সকল উপজেলায় যথাযথ নজরদারি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর মুন্সীগঞ্জের অধিকাংশ হিমাগারে আলু বিক্রি হঠাৎ বন্ধ হয়। দাম বাড়ানো না হলে আলু বিক্রি করবেন না বলে জানিয়েছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় হিমাগার থেকে আলু আনতে না পারায় সংকট দেখা দিয়েছিলো খুচরা বাজারে। নতুন করে সরকার নির্ধারিত দামে আলু কিনতে না পারায় খুচরা পর্যায়ে আলু বিক্রিতে ভাটা পড়ে। গত শনিবার মুন্সীগঞ্জে হিমাগার পরিদর্শনে যান জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান। হিমাগার পরিদর্শন শেষে রোববার থেকে পাকা রসিদের মাধ্যমে ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন তিনি।